করোনা আবহে আবারও বিজেপি বিরোধী মহাজোট! গেরুয়া শিবিরের বিশেষ নজর পরবর্তী পরিকল্পনায় জাতীয় রাজ্য May 21, 2020 অতীতে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে সরাতে দেশের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এক ছাতার তলায় আসার চেষ্টা করেছিল। কখনও সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে, আবার কখনও বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায় সমস্ত বিরোধীদলকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রে সফলতা পাওয়া যায়নি। তবে বর্তমানে করোনা ভাইরাসের মত সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে ফের আলোচনায় বসতে চলেছে দেশের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তবে সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বৈঠক করলেও, তা কতটা সফলতা পাবে, তা নিয়ে এখন জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বর্তমানে দুটি ইস্যুতে সরব হতে চাইছে বিরোধীরা। একদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে ফেরা নিয়ে দুর্দশা এবং অন্যদিকে রাজ্যের অধিকারে কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করছে, এই অভিযোগ করে কেন্দ্রকে চাপে রাখতে চাইছে তারা। আর তাই এই পরিস্থিতিতে যে সমস্ত রাজ্যে বিজেপি বিরোধী সরকার রয়েছে, সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সহ নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী। ইতিমধ্যেই সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে সবুজসংকেত দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতী আদৌ এই বৈঠকে থাকবেন কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একইভাবে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেও, তিনি বিরোধীদের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানাননি। তবে বিরোধীদের ডাকা এই বৈঠকে উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই এমত পরিস্থিতিতে যদি সোনিয়া গান্ধীর ডাকা এই বৈঠকে বিরোধীদের মধ্যেকার কোনো একটি দল এই দলের নেতা উপস্থিত না হন, তাহলে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ রুপ ভেঙে যাবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। শুধু তাই নয়, যে বিজেপি বিরোধিতার জন্য সমস্ত বিরোধীদলগুলো এক হয়ে লড়াই করার চেষ্টা করছে, যদি তাদের এই বৈঠক সফলতা না পায়, তাহলে বিজেপির পক্ষ থেকে সেই বিরোধী মহাজোটকে কটাক্ষ করা হবে। যার ফলে আর ঘুরে দাঁড়ানোর মত পরিস্থিতি থাকবে না সেই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর। ফলে সেদিক থেকে এখন নিজেদের বৈঠক এই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কতটা সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -