এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ভাঙ্গড় তুমি কার? রেজ্জাক- আরাবুল অনুগামীদের নতুন করে গুলির লড়াইয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল

ভাঙ্গড় তুমি কার? রেজ্জাক- আরাবুল অনুগামীদের নতুন করে গুলির লড়াইয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল


তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশের পর বেশকিছুদিন শান্তই ছিল এই ভাঙড়। কিন্তু শান্তি যে এই এলাকায় বেশিদিন দীর্ঘস্থায়ী হয় না তা ফের শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে প্রমাণ হয়ে গেল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ভাঙ্গড়ে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী রয়েছে। যার একদিকে রয়েছেন এখানকার দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা ভাঙ্গড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আরাবুল ইসলাম এবং অপরদিকে রয়েছেন এই ভাঙড়েরই তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা। বেশ কিছুদিন আগে পাওয়ার গ্রিড নিয়ে এলাকায় তীব্র অশান্তি সৃষ্টি হলে এবং দলের মধ্যেই অন্তর্কোন্দল দেখা দিলে সেখানকার সমস্ত নেতাকে ডেকে অশান্তি বন্ধ করতে নিদান দেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর নেত্রীর কথাকে মান্যতা দিয়ে প্রকাশ্যে হাতে হাত ধরে রেজ্জাক – আরাবুল চললেও মনে যে একে অপরের প্রতি সেই বিষ থেকেই গেছে তা রবিবারের ঘটনায় ফের স্পষ্ট হয়ে উঠল। কিন্তু ঠিক এমন কি হল! যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল এই ভাঙ্গড়? সূত্রের খবর, গত রবিবার বিকেলে অসমের তিনসুকিয়া গণহত্যার বিরুদ্ধে এই ভাঙড়ের হাতিশালার ছয় লেনে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।

যার নেতৃত্বে ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য তথা মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লার পুত্র মুস্তাক আহমেদ। জানা যায়, সভা শেষ করে সেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা যখন কুলবেড়িয়ার গ্রামে একটি স্থানীয় ক্লাবে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন ঠিক তখনই সেখানে হামলা চালায় কিছু দুষ্কৃতী। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ। আর এই ঘটনায় নুর ইসলাম মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মীর কান কেটে যাওয়ার পাশাপাশি কালাম মোল্লা নামে আরও এক ব্যক্তির হাত ভেঙে যায়।

এদিকে এই ঘটনায় কুতুবউদ্দিন মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। একাংশের দাবি, সংঘর্ষের এই ঘটনায় গুলিও চলেছে। তবে এই গুলি চলার সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। কিন্তু ঠিক কারা এই স্থানীয় তৃণমূল কর্মী তথা মন্ত্রী পুত্র শিবিরের ওপর এহেন হামলা চালালো?

এদিন এ প্রসঙ্গে সেই স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য তথা রেজ্জাক মোল্লার পুত্র মোস্তাক আহমেদ বলেন, “আরাবুল ইসলামের ঘনিষ্ট সাবির মোল্লার নেতৃত্বেই হামলা হয়েছে।” অন্যদিকে সংঘর্ষের খবর শুনলেও কে বা কারা এই হামলার পেছনে জড়িত তা তিনি জানেনই না বলে এ দিন দাবি করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা ভাঙ্গড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আরাবুল ইসলাম।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রাজনৈতিক মহলের মতে, এই অঞ্চলে বিরোধী তেমন নেই বললেই চলে। কাজেই তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা যে তৃণমূলীদের একাংশই করেছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত অনেকেই। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফলে নতুন করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ফের উত্তেজনা ছড়ায় কিনা এই ভাঙ্গড়ে সেই আতঙ্কেই এখন গ্রামবাসীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!