Big Breaking তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ শিশিরের, দলবদলের জল্পনা তুঙ্গে! তৃণমূল মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য March 3, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত বছরের শেষের দিকে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে যে শুভেন্দু অধিকারী দল ভাঙ্গাতে অত্যন্ত পটু, সেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন, অথচ তার পরিবারের সদস্যরা এখনও তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছেন, তা সহজেই মেনে নিতে পারছিলেন না অনেকে। তবে শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য বেশ কিছুদিন আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, রামনবমীর আগে তার পরিবারেও পদ্ম ফুটবে। এমনকি সেই মতো কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী যোগদান করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তবে শুভেন্দুবাবুর পিতা শিশির অধিকারী এখনও তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ এবং শিশিরবাবু ছেলে তথা শুভেন্দু অধিকারীর আরেক ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। তবে তাদের দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের কোনো কর্মসূচিতে যোগদান করতে দেখা যায়নি। আর এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা যখন বেজে গিয়েছে, তখন দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীকে। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, “সম্প্রতি চোখের অপারেশন হয়েছে। এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছি। তবে ছেলেরা বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করেছে।” পাশাপাশি ছেলেকে আক্রমণ করলে তিনি যে ছেড়ে কথা বলবেন না, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, “বাম, কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও এমন আক্রমণ করা হয়নি। যা তৃণমূল কংগ্রেস করছে।” অর্থাৎ তার ছেলে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর যেভাবে তাকে এবং তার পরিবারকে আক্রমণ করা হয়েছে, তা যে তিনি বিন্দুমাত্র বরদাস্ত করবেন না, তা এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন প্রবীণ এই তৃণমূল নেতা। আর তার এই মন্তব্যের ফলে কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল যে, তিনি দলের সঙ্গী ক্রমাগত গুরুত্ব বৃদ্ধি করতে শুরু করেছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছেলে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই শিশির অধিকারী এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়েও গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। দলে থাকলেও তাদের সেভাবে কোনো কর্মসূচিতে যোগদান করতে দেখা যায়নি। স্বভাবতই অধিকারী পরিবারের বাকি সদস্যরাও যে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন এবং তা যে শুধু সময়ের অপেক্ষা, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তবে নির্বাচনের আগে জল্পনা বাড়িয়ে শিশির অধিকারীর এই মন্তব্য যে শাসকদলকে যথেষ্ট বিড়ম্বনার মুখে ফেলে দিল, সেই বিষয়ে নিশ্চিত বিশ্লেষকরা। আপনার মতামত জানান -