এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বঙ্গ বিজেপিতে ধুন্ধুমার, শুভেন্দু ছাড়া গতি নেই! এবার কি টনক নড়বে মোদী-শাহের?

বঙ্গ বিজেপিতে ধুন্ধুমার, শুভেন্দু ছাড়া গতি নেই! এবার কি টনক নড়বে মোদী-শাহের?


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কথায় কথায় ভারতীয় জনতা পার্টি দাবি করে, তারা নাকি শৃঙ্খলাবদ্ধ দল‌। তাদের দলে নাকি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই! কিন্তু বারবার যে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে আন্দোলন করছে, তাদের নিজেদের শৃঙ্খলাই প্রশ্নের মুখে পড়ে যাচ্ছে। এদিন বিজেপির সল্টলেকের রাজ্য দপ্তরের অফিসের বাইরে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন একাংশ। যেখানে তাদের দাবি, বারাসাত জেলা বিজেপির সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে। তাই অবিলম্বে তাকে অপসারণ করতে হবে। আর বিজেপির মতো সর্বভারতীয় শৃঙ্খলা পরায়ন দলের এই অবস্থা দেখে কর্মীদের মধ্যে থেকেই বড় আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে। একাংশের দাবি, বর্তমান বিজেপি নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে পারছে না্। তাই কড়া হাতে যিনি সংগঠন এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দুইই সামাল দিতে পারবেন, তাকেই দায়িত্ব দেওয়া উচিত। অবিলম্বে বাংলার সংগঠন নিয়ে নজর দেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বলেই দাবি একাংশের। এক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে অনেকেই শুভেন্দু অধিকারীর নাম সামনে রাখতে শুরু করেছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতার সল্টলেকে বিজেপির রাজ্য দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কর্মীরা। তাদের দাবি, বারাসাত জেলা সাংগঠনিক বিজেপির সভাপতি তরুণকান্তি ঘোষকে অবিলম্বে তার পদ থেকে সরাতে হবে। কর্মীদের অভিযোগ, তিনি তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাই তাকে এই পদ থেকে না সরালে দলের সমূহ বিপদ। আর সেই দাবিতে এদিন রাজ্য দপ্তরের বাইরে তাদের এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, যে কোনো দলেই মতানৈক্য থাকবে। কিন্তু তাই বলে দল এখনও পর্যন্ত ক্ষমতায় আসেনি। তার আগেই যদি নেতাদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব শুরু হয় এবং তাকে আটকানোর মতো সক্রিয়তা বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে দেখা না যায়, তাহলে নিজেদের কবর নিজেরাই ঘুরবে গেরুয়া শিবির। তাই অবিলম্বে শুভেন্দু অধিকারীর মত নেতাকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব দেওয়া উচিত বলেই দাবি করছেন দলেরই একাংশ।

বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের এক পক্ষের মতে, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াইটা করছেন। নিজের এলাকাকে তিনি বিজেপির পক্ষে নিয়ে এসে প্রমাণ করে দিয়েছেন, সংগঠনকে তিনি শক্তিশালী করার ক্ষমতা রাখেন। তাই নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহদের বাংলার সংগঠন নিয়ে ভাবতে হলে শুভেন্দু অধিকারীর মত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেই এগোনো উচিত। বিভিন্ন লোকের হাতে তো পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব দিয়ে দেখলেন তারা। কিন্তু লাভের লাভ তো কিছুই হচ্ছে না। তাই এবার অন্তত শুভেন্দু অধিকারীকে একবার দায়িত্ব দিলে তিনি সংগঠন পুনরুদ্ধারের আসল কাজ করতে সক্ষম হবেন। তার হাতেই সুরক্ষিত থাকবে পদ্ম শিবির বলেই দাবি করছেন কর্মীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলে এখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভয়াবহ। কিন্তু যখন তারা ক্ষমতায় ছিল না, তখন তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল, বামেদের সরাতে হবে। তাই নেতাদের মধ্যে বনিবনা না থাকলেও তৃণমূল কিন্তু ঐক্যবদ্ধ হয়ে বামেদের বিরুদ্ধে লড়াইটা করেছে। তবে বিজেপি নিজেদের মধ্যে লড়াই করতেই ব্যস্ত। তারা তৃণমূলকে কি সরাবে? তাই দ্বন্দ্ব কমাতে হলে এমন একজন নেতাকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে বসানো উচিত, যিনি দুই দিক ব্যালেন্স করে আসল লড়াইটা দিতে পারবেন। কর্মীদেরকে চাঙ্গা করতে পারবেন। আর এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া অন্য কোনো মুখ বিজেপি কর্মীদের একাংশ দেখতে পাচ্ছেন না। তবে এই সরল সত্যটা বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব কবে বুঝবে, এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!