বিজেপিকে রুখতে মরিয়া কংগ্রেস কি এবার বার করবে ‘আস্তিনের শেষ তাস’? জল্পনা তুঙ্গে জাতীয় রাজ্য July 26, 2018 সামনেই 2019 র লোকসভা ভোট। সংসদ ভবন হোক কিংবা বাইরে বিজেপিকে রুখতে একজোট হতে শুরু করেছে সমস্ত বিরোধী দলগুলো। কিন্তু তাও কোনো না কোনো ভাবে যেন আটকানোই যাচ্ছে না বিজেপির রাজনৈতিক গতিপথকে। এমত পরিস্থিতিতে প্রবল চাপে রয়েছে কংগ্রেস। কারন, একদিকে বিজেপিকে আটকানোর রননীতি ঠিক করা, আর অন্যদিকে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী না মানার দাবিতে বিরোধী জোট থেকে বিকল্প নাম হিসাবে উঠে আসতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও উত্তরপ্রদেশের দলিত নেত্রী মায়াবতীর নাম। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। আর তাই একঢিলে দুই পাখি মারার জন্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে এবার রাজনীতির ময়দানে নামাতে চায় কংগ্রেস। সূত্রের খবর, সম্প্রতি কংগ্রেসের এক আলোচনায় রাহুল গান্ধী নিজে থেকেই “প্রিয়াঙ্কাকে এবার সামনে থেকে রাজনীতি করা উচিত” বলে মন্তব্য করেছেন। সমালোচকদের মতে, প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট ওয়াধেরার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা দুর্নিতীর অভিযোগ সামনে এসেছে। এবার সেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে প্রচারে নামালে বিজেপির নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা কংগ্রেস পরিবারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে লোকসভার আগে নতুন অস্ত্র পেয়ে যাবে। এদিকে সম্প্রতি বিরোধী জোটের লালু যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপারে রাহুল গান্ধীকে মানা হবে না বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়াবতী, শরদ পাওয়ার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর নাম উল্লেখ করেছেন। আর এ প্রসঙ্গে তৃনমূলের সাংসদদের জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরাও কিছুটা সতর্ক ভঙ্গিতে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেছেন। এদিন তৃনমূল সাংসদ তথা মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়ান বলেন, “কংগ্রেস কি বলল তা নিয়ে মাথাব্যাথা নেই। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুবারের সফল মুখ্যমন্ত্রী, দুবারের রেলমন্ত্রী, সাতবারের এমপি ও লড়াকু নেত্রী। এরকম দ্বিতীয় নিদর্শন সারা দেশে আর নেই।” এদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মেনে নিলে হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত বড়ই অস্বস্তিতে রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। কারন বাংলায় তৃনমূলের বিরুদ্ধে সবসময় লড়াই করে সেই তৃনমূলের নেত্রীকেই প্রধানমন্ত্রী পদে দেখা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “রাহুল গান্ধী মহিলা প্রধানমন্ত্রীর কথা বলেছেন। মমতা, মায়াবতীই কি মহিলা? কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরাও তো রয়েছেন।” রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেস কর্মীদের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে এবার তাই সক্রিয় রাজনীতিতে নামাতে চাইছেন রাহুল গান্ধী। তাতে একদিকে যেমন বিরোধীদের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে মমতা, মায়াবতীর পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কার নামও তুলবে কংগ্রেস, ঠিক তেমনি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের 2019 র ভারতজয়ের স্বপ্নে ছাই ফেলে দেওয়া যাবে। আপনার মতামত জানান -