প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা তারপরেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্তের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হবে রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতির নাম। ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র পেশের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে শমীক ভট্টাচার্যই যে রাজ্য বিজেপির পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন, তা নিয়ে সন্দেহ নেই কোনো মহলেই। তবে গতকাল শুধুমাত্র তিনিই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ইচ্ছা মত মনোনয়নপত্র পেশ করবেন, এমনটাই কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই আরও এক ব্যক্তির উদয় হতে দেখা যায়। যেখানে শমীকবাবুর পাশাপাশি মনোনয়ন জমা দেন বিজেপির আরও এক হেভিওয়েট নেতা। আর তখনই জল্পনা তৈরি হয়, যে, তাহলে কি নির্বাচন হবে? লড়াই হবে দুই নেতার মধ্যে?
জানা গিয়েছে, গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমা করেন রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি একা মনোনয়নপত্র জমা করার কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তার জয়লাভ এবং রাজ্য সভাপতি পদে তার বসার শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করেছিলেন সকলে। কিন্তু হঠাৎ করেই দেখা যায় যে, শমীকবাবুর পাশাপাশি অম্বুজাক্ষ মোহান্তি, যিনি ২০২১ সালে পটাশপুর থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন, তিনিও মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী, কেউ যদি মনোনয়নপত্র জমা করেন, সেক্ষেত্রে তার পক্ষে ১০ জনের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। কিন্তু অম্বুজাক্ষ মোহান্তির পক্ষে পর্যাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষর ছিল না। ফলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর সেই সমীকরনে আজ সুকান্তবাবুর নামের পাশে প্রাক্তন যেমন বসবে, ঠিক তেমনই বর্তমান রাজ্য সভাপতির চেয়ারে বসবেন শমীক ভট্টাচার্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অনেক আগে থেকেই শমীকবাবুকে নিয়ে পরিকল্পনা করছে। খুব গোপনীয়তার সঙ্গেই গোটা বিষয়টি পরিচালনা করা হচ্ছিল। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি বাড়িতে শমীকবাবুর পৌঁছে যাওয়া নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়। কিন্তু সেই সময়ও এরকম কোনো পাকাপাকি খবর সামনে আসেনি। তবে গতকালই সমস্ত কিছু স্পষ্ট হয়ে যায় যে, শমীক ভট্টাচার্যই রাজ্য বিজেপির সভাপতি হতে চলেছেন। মাঝে হয়ত একজন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কারণ বিজেপি সাংগঠনিক দল। এক্ষেত্রে সবাই লড়াই করতে পারে। কিন্তু তার মনোনয়নপত্রে যথেষ্ট ত্রুটি থাকার কারণে শেষ পর্যন্ত তা বাতিল হয়ে যায়। আর যেহেতু লড়াই হচ্ছে না, তাই আজ নির্ধারিত সময় মেনে রাজ্য সভাপতি পদে শমীক ভট্টাচার্যের নাম ঘোষণা করা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।