অনুব্রত গড়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন বিজেপির বিশেষ খবর রাজ্য December 25, 2017 অনুমতি দিয়েও পরে জনসভা করতে না দেওয়ার অভিযোগে রবিবার সিউড়িতে বিক্ষোভ মিছিল করে বিজেপি নেতৃত্ব হুঁশিয়ারি দিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে এবং প্রশাসনকেও তুলোধোনা করলেন। অনুব্রত মন্ডলের নাম না করে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, পরের সভায় আমি ওর সম্বন্ধে এমন কিছু বলব, তাতে হয় দলই ওকে বের করে দেবে, নয়তো নিজেই দল ছেড়ে দেবে, এটা আমার চ্যালেঞ্জ। বিজেপি-র অভিযোগ, এ দিন রাজনগরের তাঁতিপাড়ায় দলের রাজ্য নেতৃত্বের জনসভা করার কথা ছিল। কিন্তু প্রাথমিক অনুমতি দিলেও ৭০ কিলোমিটার দূরে বোলপুরে পৌষমেলা চলছে – এই অজুহাত দেখিয়ে অনুমতি নাকচ করে দেয় প্রশাসন। পরে সিউড়িতেও জনসভার অনুমতি না মেলায় বিক্ষোভ মিছিল করে বিজেপি। পরে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়-সহ অনেক নেতা পুলিশ-প্রশাসন এবং তৃণমূলের বাধার মুখে পড়েন বলে ক্ষোভ উগরে দেন শাসকদলের ওপর। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে বিজেপিকে আটকে দেওয়ার জন্য জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ জানানো হবে। পরে মুকুল বলেন, সিউড়ির আইসি-র আরও ১৫ বছর চাকরি আছে। এত বছর বর্তমান সরকার আপনাকে বাঁচাবেন না। আর জেলাশাসক, পুলিশ সুপারকে আমি স্পিরিটেট অফিসার বলেই জানতাম। আইএএস, আইপিএস অফিসারেরা এ ভাবে ঝুঁকে পায়ে পড়েন, এটা জানা ছিল না। যদিও বিজেপির এই কটাক্ষের কোনো উত্তরই পাওয়া যায়নি জেলা প্রশাসনের দুই শীর্ষকর্তা ও সিউড়ির আইসি এর কাছ থেকে। আর বিজেপিকে বাধা দেওয়ার প্রশ্নে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত বলেন, ওদের আড়াইশোটা লোক, বাধা দেওয়ার প্রশ্নই নেই। অবশ্য এদিন মুকুল রায়ের হুঁশিয়ারি নিয়ে তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেন নি। এখন মুকুল বাবুর অনুব্রত মন্ডলকে নিয়ে হুঁশিয়ারির পরে তীব্র জল্পনা ছাড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আপনার মতামত জানান -