এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির চরম ক্ষতি করছেন অনুপম, সামনে এলো ভয়ঙ্কর তথ্য! চাঁচাছোলা সুকান্ত!

বিজেপির চরম ক্ষতি করছেন অনুপম, সামনে এলো ভয়ঙ্কর তথ্য! চাঁচাছোলা সুকান্ত!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বিজেপির নীচুতলা থেকে শুরু করে ওপরতলার নেতা, সবাই লড়াই করছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গোটা রাজ্যজুড়ে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে, সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছে শাসকদলের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে। কিন্তু তার মাঝেই কেন্দ্রীয় নেতা হয়েও অনুপম হাজরা যে সমস্ত কান্ড কলাপ ঘটাচ্ছেন, তা মেনে নিতে পারছে না গেরুয়া শিবির। বিশ্বভারতীতে উপাচার্যের বিরুদ্ধে যখন প্রতিবাদ করছে তৃণমূল, তখন সেখানে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের গলায় মালা দিয়ে সেই প্রতিবাদে সহমত পোষণ করতে দেখা যাচ্ছে অনুপমবাবুকে। যার ফলে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, তিনি আখেরে লাভবান করছেন তৃণমূল দলকেই। অনেকে বলছেন, বিজেপিতে থেকে এই নাটকটা করার কি দরকার? যদি তার বিজেপি দল অপছন্দই হয় তাহলে তিনি তৃণমূলে চলে যান না কেন! আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই অনুপম হাজরার উদ্দেশ্যে নাম না করে চাঁচাছোলা জবাব দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, এদিন অনুপম হাজরাকে নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কেন্দ্রীয় সম্পাদক হোক, বুথ স্তরের নেতা হোক বা মন্ডল স্তরের, কেউ যদি এমন কিছু করেন, যাতে তৃণমূলের সুবিধা হয়, তাহলে বুঝতে হবে, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।” গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা বলছেন, সুকান্ত মজুমদার একদম ২০০ শতাংশ ঠিক কথা বলেছেন। বিজেপির গঠনতন্ত্র নিয়ে তার প্রশ্ন থাকতেই পারে। বিজেপি যেভাবে চলছে, তা নিয়ে তার প্রশ্ন থাকতেই পারে। কিন্তু সেসব তিনি দলের মধ্যে বলবেন। কিন্তু একজন দায়িত্বশীল নেতা হয়ে তিনি তৃণমূলের কর্মসূচিতে গিয়ে নিজের দলের অস্বস্তি বাড়াবেন কেন? এটা কিসের পরিচয় দিচ্ছেন অনুপম হাজরা! তাহলে কি তার তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং রয়েছে! যখন সবাই নিচুতলার কর্মীরা লড়াই করছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে, তখন অনুপম হাজরার মতো নেত কি চাইছেন? তার কি আদৌ তৃণমূলকে সরানোর ইচ্ছে, নাকি বিজেপির অস্বস্তি বাড়াতে তিনি মরিয়া! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সমালোচকরা।

বিজেপির দাবি, অনুপমবাবু কেন্দ্রীয় স্তরের নেতা। তার কাছ থেকে আর যাই হোক, এইরকম ভূমিকা আশা করা যায় না। দলকে নিয়ে তার অনেক প্রশ্ন রয়েছে। দলের অনেক নেতাকে তিনি পছন্দ করেন না। সেই সমস্ত কিছু থাকতেই পারে। কিন্তু সেসব দলের মধ্যে না বলে একেবারে তৃণমূলের কর্মসূচিতে গিয়ে হাজির হয়ে তৃণমূলের হাত শক্ত করা সত্যিই কাম্য নয়। তার যদি মনে হয় যে, তৃণমূল দল ভালো। তাহলে তিনি আর সময় নষ্ট না করে সেখানেই চলে যান। কিন্তু বিজেপিতে থেকে আর যাই হোক, তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা রাখা যাবে না। এর ফলে তার আচরণে আঘাত পাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরাই। তাই তিনি অবিলম্বে নিজের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করুন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি দলে এমন অনেক রয়েছেন, যারা বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট। অনেকে এটাও বলছেন যে, শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। কিন্তু সকলেই তা দলের ভেতরে আলোচনা করছেন। তবে বিজেপির মত সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরায়ন দলের কেন্দ্রীয় স্তরের নেতা হয়েও অনুপম হাজরার আচরণ দুর্ভাগ্যজনক। এর ফলে তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে বলার মত সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। দিনের শেষে লাভবান হচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। তাই অনুপম হাজরার আচরণ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার যে কথা বললেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আখেরে কি তৃণমূলের হাত শক্ত করতেই এই সমস্ত কান্ড কলাপ করছেন অনুপমবাবু? দিনের শেষে সেই প্রশ্নই তুলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!