এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিধায়কের অফিসে আয়কর হানা হতেই তৃণমূলের চেঁচামেচি শুরু! মিথ্যে নাটক, কটাক্ষ বিজেপির!

বিধায়কের অফিসে আয়কর হানা হতেই তৃণমূলের চেঁচামেচি শুরু! মিথ্যে নাটক, কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যুক্ত হয়ে বিজেপির টিকিটে জিতে আবার তৃণমূলে ফিরে গিয়েছিলেন তন্ময় ঘোষ। আজ তার অফিস এবং রাইস মিলে আয়কর হানা দিয়েছে। আর তারপর থেকেই তৃণমূল দাবি করছে যে, বিজেপিতে থাকার সময় তন্ময় ঘোষের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কিন্তু তিনি যখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তখন তার বিরুদ্ধে এজেন্সি লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে তৃণমূলের এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তাদের কোন নেতা চুরি করলেই সেখানে যখন এজেন্সি যাবে, তখন তারা এই নাটক শুরু করে দেবে। তবে তন্ময় ঘোষের ক্ষেত্রে তৃণমূলের এই নাটক বেশিক্ষণ টেকসই হলো না। এবার গোটা ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি যে তথ্য সামনে আনলেন, তাতে চরম চাপে পড়ে গেল রাজ্যের শাসক দল।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে তৃণমূলের অভিযোগ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আসল যুক্তি তুলে ধরেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “এসব মিথ্যে কথা। আয়কর দপ্তর তাদের মত করেই হানা দিয়েছে। নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ রয়েছে‌। সেই কারণেই হানা দেওয়া হয়েছে। আর তন্ময় ঘোষ তো আজকালের মধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেননি। তার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রায় দুই বছর হয়ে গেল, আমার যতদূর মনে হয়। তাই প্রতিহিংসার অভিযোগ ভিত্তিহীন ছাড়া আর কিছু নয়। তৃণমূল এসব কথা বলে নাটক করছে।”

 

একাংশের মতে, একসময় তৃণমূলেই ছিলেন এই তন্ময়বাবু। বিজেপির টিকিটে জিতে তিনি আবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে। তবে তার চুরি ধরা পড়ে গিয়েছে। তাই আয়কর হানা দিতেই এখন প্রতিহিংসার অভিযোগ করা শুরু করেছে তার দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তন্ময় ঘোষ তো খুব রিসেন্ট দল বদল করেননি। আর এতদিন তো তার বাড়িতে কোনো এজেন্সি হানা দেয়নি। নিশ্চয়ই এখন অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে বলেই আয়কর দপ্তর গিয়েছে। কিন্তু চুরি যদি নাই করে থাকবেন, তাহলে এত ভয় কিসের? বর্তমানে সেই প্রশ্নই তুলছেন সমালোচকরা।

বিজেপির দাবি, তৃণমূল দলের চুরি ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট নেই। একের পর এক মন্ত্রী জেলে যাচ্ছেন। তারপরেও এই দলের নেতা-নেত্রীদের লজ্জা নেই। তারা আবার বড় বড় গলায় দাবি করে, তারা নাকি সততার প্রতীক। কোনো এজেন্সি যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তার অফিস বা বাড়িতে হানা দেয় এবং তল্লাশি করে, তাহলে কেন এত আপত্তি হবে তৃণমূলের? তারা যখন দুর্নীতি করেইনি, তাহলে তাদের এত ভয় কেন? কেনই বা উঠবে প্রতিহিংসার মতো অভিযোগ! আসলে সব জায়গায় চুরি করার কারণেই যে কোনো হানাতেই ভয় পেয়ে যায় রাজ্যের শাসক দল। তন্ময় ঘোষের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হচ্ছে‌। তিনি যে চুরি করেছেন, তা স্পষ্ট। আর সেই কারণেই আয়কর হানায় প্রতিহিংসার রাজনীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল। কিন্তু এসব করে রেহাই পাওয়া যাবে না। দোষীদের সাজা হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের ছোট, বড়, মেজো, যে কোনো কারওর বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি গেলেই তারা প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলতে শুরু করেন। তন্ময় ঘোষের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হলো না। কিন্তু তৃণমূল বুঝতে পেরেছে যে, তন্ময় ঘোষ যে দুর্নীতি করেছে, তাতে আজ না হোক কাল, তার বিরুদ্ধে একটা পদক্ষেপ হবেই। তাই এখন প্রতিহিংসার অভিযোগ করে আসর জমানোর খেলা রাজ্যের শাসক দল শুরু করে দিল। কিন্তু এই নোংরা খেলায় সাধারণ মানুষ আর যাই হোক বিভ্রান্ত হবেন না। তারা তৃণমূলের চুরির রাজনীতি, তন্ময় ঘোষের মত বিধায়কের স্বার্থসিদ্ধির রাজনীতি ধরে ফেলেছেন। তাই দীর্ঘদিন আগেই দল বদল করা এই বিধায়কের ঘনিষ্ঠরা যতই চেঁচামেচি শুরু করুন, তার দল যতই বলুন যে, প্রতিহিংসা হচ্ছে, এসবে সাধারণ মানুষ অন্তত দিকভ্রষ্ট হবেন না। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!