এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর কথা হুবহু মিলে গেল, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বালুর পাশেই মমতা! সোচ্চার বিজেপি!

শুভেন্দুর কথা হুবহু মিলে গেল, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বালুর পাশেই মমতা! সোচ্চার বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেপ্তারির পর আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে তার হাতে থাকা বন দপ্তর নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে একটা জল্পনা ছিল। কিন্তু সকালেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল। যে প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দপ্তর নিয়ে কোনো কিছুই সিদ্ধান্ত হবে না। তাকে মন্ত্রীপদ থেকে সরাবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে শুভেন্দু অধিকারীর সেই কথাই অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল। মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে যে খবর প্রকাশ্যে এলো, তাতে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, গ্রেপ্তার হলেও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশেই রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেস। মন্ত্রী তো অনেক দূরের কথা, দলের কোনো পদ থেকেও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে আপাতত সরানোর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের পর তেমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তারা এটাও বলছেন যে, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল দল সম্পর্কে যা যা বলছেন, তা একেবারে হুবহু মিলে যাচ্ছে।

সূত্রের খবর, আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারি নিয়ে তার পাশেই দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়‌। যেখানে তিনি বলেন, “বালুকে ফাঁসানো হয়েছে। তোমরা সবাই উত্তর 24 পরগণায় সংগঠনটা দেখে রেখো।” অর্থাৎ উত্তর 24 পরগনা জেলা থেকে যারা মন্ত্রী রয়েছেন, তাদের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অনুপস্থিতিতে সংগঠন দেখার নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এটা স্পষ্ট করে দিলেন যে, তার বালুর পাশে তিনি রয়েছেন। আর এখানেই একাংশ বলছেন, থাকবেন নাই বা কেন? যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, তাতে সেই বালুর পাশে তিনি যদি না দাঁড়ান, তাহলে তার নাম যে কোনো সময় সামনে চলে আসতে পারে। তাই এখন নিজের মুখ রক্ষা করতে এবং নিজেকে বিপদ থেকে বাঁচাতেই মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। শুভেন্দু অধিকারী যা বলছেন, তা যেভাবে মিলে গেল, তাতে স্পষ্ট যে, এটা একটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিতে পরিণত হয়েছে বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, অনুব্রত মণ্ডল এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। প্রথম থেকেই একটা বিষয় বলা হচ্ছে যে, মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া এই ধরনের বিশাল মাপের দুর্নীতি হতে পারে না। তাই জেলে থাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যদি সরকার তার পাশে না দাঁড়ায়, যদি মুখ্যমন্ত্রী তার পাশে না থাকেন, তাহলে বোমা ফাটিয়ে দিতে পারেন। আর তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চরম ফ্যাসাদে পড়ে যাবেন। তাই অবস্থা বুঝেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশে সব সময় দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে এসব করে তিনি আসল তথ্যকে ধামাচাপা দিতে পারবেন না। চুরি যে হয়েছে, আর সেই চুরি যে বৃহৎ আকৃতিতে হয়েছে, তা স্পষ্ট। যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, তাতে সাধের বালুর পর আরও অনেকেই শ্রীঘরের দিকে যাত্রা করবেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য যেভাবে মিলে গেল, তাতে অনেকেই হতবাক। অনেক বড় বড় মাথারা বলেছিলেন যে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেবেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন যে, কোনোমতেই মুখ্যমন্ত্রী এই কাজ করবেন না। আর তারপরেই একটা জিনিস ধারণা হয়েছিল যে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মুখ্যমন্ত্রীর যে সমস্ত গোপন খবর জানেন, তা ফাঁস করে দিতে পারেন। সেই ভয়েই মুখ্যমন্ত্রী তার ঘনিষ্ঠ বালুর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেবেন না। আর সেটাই বাস্তব হয়ে যাওয়ার কারণে বোঝা যাচ্ছে যে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারি নিয়ে যথেষ্ট ভয় বাসা বেঁধেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মনের মধ্যে। তাই ভয়ে হোক বা স্নেহে, বালুকে অন্তত মন্ত্রিসভা থেকে তিনি সাইড করতে পারলেন না। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!