বনমন্ত্রীর উপর নবান্নের রোষ, বিপাকে বনদপ্তরের একাধিক কর্মী তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য January 17, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যদিও এখনও তিনি দলত্যাগ করেননি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে দলের অস্বস্তি ক্রমশই বাড়ছেই । দলও যে তাঁর উপরে রুষ্ট, তাও আর অপ্রকাশিত থাকছে না। এই পরিস্থিতির কারণেই বনদপ্তরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আটকে আছে। এই কারণে আটকে গেছে বনদপ্তরের ১৪ জন আধিকারিকের পদোন্নতি। দলের একাংশের বিরুদ্ধে বনমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের কারণেই বিপাকে পড়েছেন এই আধিকারিকেরা। দলের একাংশের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতার এক অরাজনৈতিক সভা থেকে দলের একাংশের বিরুদ্ধে প্রথম ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এরপর শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মস্থানে গিয়ে শ্রীরামকৃষ্ণের বাণীকে উদ্ধৃত করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য তাঁর। এরপর গতকাল ফেসবুক লাইভেও তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি বেশ কিছু ভালো কাজ করতে চাইলেও, দলের একাংশের বারবার বাধা পাচ্ছেন তিনি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁর ক্ষোভের নিষ্পত্তি করার চেষ্টাও করা হয়েছিল। তবে, তাতে কতটা কাজ হয়েছে? তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক থেকেই যাচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই পরিস্থিতিতে প্রায় দু’মাস আগে বনদপ্তরের ১৪ জন আধিকারিকের পদোন্নতির সুপারিশ করে নবান্নের কাছে ফাইল পাঠিয়েছিলেন বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, দুমাস কেটে গেলেও, সেই ফাইলগুলো খুলে দেখা হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, উপযুক্ত কারণ না দেখিয়েই সমস্ত ফাইল আবার বনদপ্তরের কাছে ফেরত পাঠিয়েছে নবান্ন। এই ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন আধিকারিকেরাও। ক্ষোভ বেড়েছে সকলের মনেই। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন যে, বনমন্ত্রীর সঙ্গে দলের সম্পর্ক শীতল হওয়ার কারণেই কি আটকে গেছে এই ১৪ জন আধিকারিকের পদোন্নতি? এ প্রসঙ্গে বনদপ্তরের জনৈক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন যে, এই ধরনের পদোন্নতির তালিকা একেবারেই রুটিন সুপারিশ। সাধারণভাবে কোন নথি যদি ঠিক থাকে, তবে তা আটকে দেওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না। কিন্তু এই ফাইল কোনরকম কারন না দেখিয়ে যেভাবে নবান্ন থেকে ফেরত পাঠানো হলো। তার ফলে বিস্মিত হয়েছেন সকলে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, নবান্নের শীর্ষস্তরের যদি অনুমোদন না থাকে তবে, এ কাজ কখনই করা সম্ভব নয়। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, এর মধ্যে রাজনৈতিক মনোমালিন্যের বিষয়টি কখনোই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন মহল থেকেও প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে, বনমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরোধের কারণেই কি এই ১৪ জন আধিকারিকের পদোন্নতি আটকে গেছে? এর ফলে পড়েছেন তাঁরা তীব্র সমস্যায়। কিন্তু, কিভাবে তাদের এই সমস্যার সমাধান হবে? সে প্রশ্ন এখন সকলের মুখে। তবে, অনেকে মনে করছেন যে, বন মন্ত্রীর সঙ্গে যদি নবান্নের বিরোধের নিষ্পত্তি সম্ভব হয়, তবেই এই সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব। আপনার মতামত জানান -