এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ছাত্র ভর্তিতে দুর্নীতি রুখতে এবার বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চলেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ? সরব বিরোধীরা

ছাত্র ভর্তিতে দুর্নীতি রুখতে এবার বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চলেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ? সরব বিরোধীরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃণমূল কংগ্রেস এখন দল থেকে দুর্নীতি দূরীভূত করতে বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে শাসকদল। তবে শুধু মূল সংগঠন নয়, যুব থেকে শুরু করে ছাত্র সংগঠন, প্রতি ক্ষেত্রেই যাতে দুর্নীতির কেশাগ্র স্পর্শ করতে না পারেন কোনো নেতা, তার জন্য উদ্যোগী হয়েছে ঘাসফুল শিবির। সূত্রের খবর, এবার মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক প্রকল্প থেকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো রকম অনিয়মকে বরদাস্ত করা হবে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় প্রতিবছরই কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শাসক দলের ছাত্রসংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন সময় জেলায় প্রশাসনকে ময়দানে নামিয়ে গোটা ব্যবস্থায় আনার চেষ্টা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি নিজেও বিভিন্ন কলেজে হানা দিয়েছেন‌। আর এই পরিস্থিতিতে সামনে যখন বিধানসভা নির্বাচন তখন তার আগে কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে যাতে কোনো অনিয়ম প্রকাশ্যে না আসে এবং সেটা কি হিসু করে যাতে বিরোধীরা ময়দানে নামতে না পারে তার জন্যই শাসকদলের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মালদহে মোট 11 টি জেনারেল ডিগ্রী কলেজ রয়েছে। কলেজ অধ্যক্ষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কলা বিভাগের বিষয়গুলোতে অনার্স পিছু প্রায় 100 টি আসন এবং বিজ্ঞান ও কলা বিভাগের বিষয়গুলোতে 30 থেকে 50 টি করে আসন রয়েছে। প্রায় প্রতি বছর এই ভর্তির ক্ষেত্রে তোলাবাজির অভিযোগ ওঠে। কিন্তু এবার তা বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছে শাসকদল। ইতিমধ্যেই জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বকে এই ব্যাপারে কড়া বার্তা দিয়েছে মাদার সংগঠন।

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বলেন, “ইতিমধ্যে ভর্তি নিয়ে কোনো অনিয়মের খবর জানতে আমরা হেল্পলাইন চালু করেছি। জেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে দুটি হেল্পলাইন থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি ব্লক বা কলেজের জন্য পৃথক পৃথক হেল্পলাইন নম্বর থাকবে। ভর্তির নিয়মিত খবর পড়ুয়ারা যেন নির্দ্বিধায় সেখানে জানাতে পারেন, সেজন্য তাদের নাম এবং পরিচয় গোপন রাখা হবে।” তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্বচ্ছতার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হলেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধীরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মান্তু ঘোষ বলেন, “তৃণমূল ছাত্র পরিষদ মুখে যাই বলুক, ওই সংগঠনের কেউ কেউ ভর্তির ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই অভিযোগ আগেও এসেছে। কলেজে ভর্তির অনিয়ম সামনে এলে আমরাও ছেড়ে কথা বলব না।” তবে শাসক দলের পক্ষ থেকে যেভাবে স্বচ্ছতাকে মান্যতা দিয়ে গোটা পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা হচ্ছে, তাতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এখন কতটা স্বচ্ছতা বজায় থাকে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!