এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একদা কংগ্রেসের গড়ে বড়সড় ভাঙ্গন ধরালো বিজেপি, হেভিওয়েট নেতা সহ গেরুয়া শিবিরে যোগ ১,৫০০-এর

একদা কংগ্রেসের গড়ে বড়সড় ভাঙ্গন ধরালো বিজেপি, হেভিওয়েট নেতা সহ গেরুয়া শিবিরে যোগ ১,৫০০-এর

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে অনেকটাই চাপে ফেলে এরাজ্যে ভালো ফল করেছে বিজেপি। আর বাংলায় বিজেপির উত্থানের পরই দিকে দিকে তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা, বিধায়ক, কর্মীরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেন। কিন্তু শুধু তৃণমূল নয়, রাজ্যের বিরোধী দল হিসেবে খাতায়-কলমে এখনও থাকা কংগ্রেসের গড়ে এবার ভাঙন ধরাতে সক্ষম হল গেরুয়া শিবির।

সূত্রের খবর, এবার কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত বাঘমুণ্ডিতে বড়সড় ভাঙন ধরাল তারা। জানা গেছে, সোমবার কংগ্রেসের বাঘমুণ্ডি ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি বিভূতি মাহাত সহ প্রায় ১৫০০ জন কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। আর বিজেপির পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের কার্যালয়ে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী ও সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। তবে দলের দাপুটে নেতা সহ প্রচুর কর্মী একেবারে হাত শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেস ভেতরে বিমূর্ষ হয়ে গেলেও বাইরে তা প্রকাশ করতে নারাজ।

এদিন এই বড়মাপের যোগদান পর্বে কংগ্রেসের দাপুটে নেতা কর্মীদের নিজেদের দলে যোগদান করিয়া পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, “সাধারণ মানুষ আর তৃণমূল, সিপিএম বা কংগ্রেস করতে চাইছেন না। এদিন বাঘমুণ্ডির প্রায় দু’হাজার পরিবার বিভূতি মাহাতর নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগ দেন। ওই ব্লকে কংগ্রেস বলে আর কিছু থাকবে না। কংগ্রেসকে আমরা গত লোকসভা ভোটে ৭০ হাজার ভোটে হারিয়েছি। বিভূতিদার মতো একজন শক্তপোক্ত নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এতটাই শক্তি বৃদ্ধি হল যে বাঘমুণ্ডিতে বিজেপির গড় তৈরি হল।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন তার মত এত প্রভাবশালী নেতা হঠাৎ কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন! এদিন এই বিষয়ে বিভূতি মাহাতো বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে কংগ্রেসের কারও সঙ্গে আমার বিরোধ নেই। তবে এলাকার উন্নয়ন এবং বাঘমুণ্ডিতে তৃণমূলমুক্ত করতেই আমি বিজেপিতে যোগ দিলাম। আমি দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে কংগ্রেসের বাঘমুণ্ডি ব্লকের সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম।” তবে বিভূতিবাবুর বিজেপিতে যোগ দিতেই এদিন তার ব্যাপারে সোচ্চার হতে শুরু করেছে কংগ্রেসের নেতৃত্বরা।

এদিন এই বিষয়ে বাঘমুণ্ডি ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি কাঞ্চন কুমার বলেন, “বিভূতিবাবুকে আগেই পদ এবং দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দল বিরোধী কাজের জন্য। উনি কংগ্রেসে থেকে বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। গত পঞ্চায়েত ভোটের পরেও পঞ্চায়েত সমিতিতে কংগ্রেস সভাপতি পদের দাবিদার হলেও বিভূতিবাবু দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বিজেপিকে সভাপতি পদ পাইয়ে দিয়েছেন। পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোটে তিনি বিজেপির হয়েই প্রচার করেছেন। তাই দল তাঁকে আগেই সরিয়ে দিয়েছিল। বিভূতিবাবুর সঙ্গে নিজের বুথের ২০০ জনের বেশি লোক যাননি। এতে বাঘমুণ্ডিতে কংগ্রেসের ভালো হল।”

কিন্তু ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি কাঞ্চনবাবুর এই বক্তব্যকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন সেই বিভূতি মাহাতো। তার পাল্টা দাবি, তাকে তাড়ানো হয়নি। তিনি প্রায় দেড়মাস আগেই তার পদ স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিয়েছেন। তবে রাজনীতিতে তরজা থাকবে। কিন্তু সেই তরজার মাঝেও সারারাজ্যে কংগ্রেসের অস্তিত্ব সংকট হলেও বাঘমুন্ডিতে টিপটিপ করে তাদের বাতিটা জ্বলছিল। কিন্তু সেই বাতিও যেভাবে বিজেপি নিজেদের ঘরে নিয়ে নিল, তাতে হাত শিবিরের দশা এখন ঠিক কি হয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!