এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা আতঙ্কের মাঝেই বড়সড় সুখবর! বাজারে এসেছে নতুন ওষুধ

করোনা আতঙ্কের মাঝেই বড়সড় সুখবর! বাজারে এসেছে নতুন ওষুধ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশের করোনা পরিস্থিতি এই মুহূর্তে চূড়ান্ত উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। প্রতিষেধক দিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছেনা। দেখা যাচ্ছে, বহু ক্ষেত্রে দু ডোজ প্রতিষেধক নিয়েও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই, যা চিকিৎসকদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। এই অবস্থায় খুব স্বাভাবিকভাবেই আরও উন্নত চিকিৎসার খোঁজ চালানো হচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে শোনা যাচ্ছে আশার বাণী। ইতিমধ্যে রচে ইন্ডিয়া নামক একটি সংস্থা জানিয়েছে, তাঁরা ভারতের বুকে সেই অ্যান্টিবডি ককটেল নিয়ে আসতে চলেছে যা এর আগে প্রয়োগ করা হয়েছিল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর। সোমবার সংস্থার পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন করোনার প্রথম ঢেউয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তখন এই রচে ইন্ডিয়া নামক একটি সংস্থার পক্ষ থেকে অ্যান্টিবডি ককটেল তৈরি করে তার ডোজ দেওয়া হয়েছিল। এবং তিনি সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে। সূত্রের খবর, এই অ্যান্টিবায়োটিকে ব্যবহার হয়েছে কাসিরিভিমাব এবং ইমডেভিমাব নামক দুটি পরীক্ষামূলক ওষুধ। তবে জানা গিয়েছে, এই ওষুধটি ভারতের বাজারে আসলেও তার দাম কিন্তু হতে চলেছে প্রায় আকাশছোঁয়া। সোমবার রচে ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 1 হাজার 200 মিলিগ্রামের ওষুধে কাসিরিভিমাব থাকতে চলেছে 600 মিলিগ্রাম এবং ইমডেভিমাব 600 মিলিগ্রাম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সমপরিমাণ মিশিয়ে এই নতুন অ্যান্টিবডি ককটেল তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ওষুধের প্রতি মাত্রার দাম হতে চলেছে 59 হাজার 750 টাকা। এবং দুই মাত্রার প্যাকের সর্বোচ্চ দাম হবে 1 লক্ষ 19 হাজার 500 টাকা. সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুই মাত্রার প্যাকে দুজন করোনা রোগীর চিকিৎসা হবে। প্রসঙ্গত, ভারতের বাজারে এই ওষুধ নিয়ে আসতে চলেছে সিপলা। জুনের মাঝামাঝি সময়ে এই  অ্যান্টিবডি ককটেলটি দ্বিতীয় ব্যাচ পাওয়া যাবে ভারতে। সিপলা এবং রচে ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে প্রথম ব্যাচের অ্যান্টিবডি ককটেলটি পাওয়া যাচ্ছে, দ্বিতীয় ব্যাচ জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে বাজারে আসবে।

এই ওষুধ প্রয়োগে প্রায় দু লক্ষ করোনা রোগী উপকৃত হবেন বলে দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে সেন্ট্রাল ড্রাগ স্টান্ডার্স কন্ট্রোল অরগানাইজেশন ইতিমধ্যেই এই অ্যান্টিবডি ককটেলকে ভারতে জরুরীকালীন ভিত্তিতে ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে। সবমিলিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে নতুন করে আশার আলো দেখা গিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা সাধারণ মানুষ কিভাবে করাতে পারবে, তা নিয়ে কিন্তু যথেষ্ট সন্দেহ থাকছে। তবে করোনা পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে এই মুহূর্তে মরিয়া সবাই। সেক্ষেত্রে করোনার অ্যান্টিবডি ককটেল কতটা ত্রাণকর্তা হয়ে উঠতে পারে, সেদিকেই থাকবে নজর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!