করোনাকে নির্মূল করতে তৈরি মহৌষধ! দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে আশার বাণী! জাতীয় May 19, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ঢেউয়ের পর আবার এক বছরের মাথায় করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। ভারতবর্ষে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এক বছর কাটতে না কাটতেই করোনা ভাইরাসকে দমানোর জন্য একাধিক ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু তার মাঝেই আবার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার কারণে পরিস্থিতি সামলানো কার্যত বড় দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস আটকাতে একাধিক রাজ্য লকডাউনের পথে হেঁটেছে। সবরকম ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে, করোনা ভাইরাসকে দমানোর। কিন্তু তা সত্ত্বেও মৃত্যু-মিছিল অব্যহত। দিনকে দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে এমন কোনো ভ্যাকসিন বা ওষুধ আবিষ্কার করা হোক, যার দ্বারা সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা যাবে করোনা ভাইরাসকে বলে দাবি করছেন সকলে। ইতিমধ্যেই নানা মহলে এই নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। কিন্তু তার মাঝেই আশার আলো দেখাতে শুরু করলেন অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসকে নির্মূল করবার জন্য একটি অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ তৈরি করেছেন তারা। যেখানে ইঁদুরের শরীরে প্রবেশ করিয়ে অনেকটাই সফলতা অর্জন করা গিয়েছে। তাই করোনা ভাইরাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার জন্য এই ড্রাগ প্রয়োগ করলে তা অনেকটাই সফলতা পাবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2020 সালের এপ্রিল মাস থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এই নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। দীর্ঘ গবেষণার পর সম্প্রতি ইঁদুরের ফুসফুসে এই অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ প্রয়োগ করা হয়েছিল। যার ফলাফল অনেকটাই আশাব্যঞ্জক বলে খবর। যেখানে ইঁদুরের ফুসফুসে করোনার 99% ভাইরাস নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে এই ড্রাগ বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমানে যখন করোনা ভাইরাস বাড়ছে, তখন যদি ইঁদুরের শরীরের মত মানব শরীরেও এই ড্রাগ কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে, তাহলে তা আটকানো অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনই এই ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছে না গবেষক সংস্থা। এক্ষেত্রে মানব শরীরে প্রয়োগ করে তারা গোটা বিষয়টিতে নিশ্চিত হতে চাইছে বলে খবর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষস্থানীয় গবেষক প্রফেসর নাইজেল ম্যাকমিলান বলেন, “এই চিকিৎসার কারণে বিশ্বে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যুর হার কমতে পারে। এমনকি ফুসফুসে প্রবেশ করে ভাইরাস নির্মূল করার ক্ষমতা রয়েছে এই ড্রাগের। যেহেতু ইঁদুরের শরীরে তা চালু করা হয়েছে, তাই মানুষের ওপর এই চিকিৎসা কতটা কার্যকর হবে, তা এখনও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরের সাধারণ কোষগুলোতে কোনো খারাপ প্রভাব পড়বে না। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এখন দ্রুত করোনা ভাইরাসকে আয়ত্বের মাঝে নিয়ে আসাই প্রধান লক্ষ্য সকলের কাছে। যত দ্রুত সম্ভব এই মারণ রোগ কে আটকানো যায় তা নিয়ে নানা মহলে চর্চা চলছে বিশেষজ্ঞরা চেষ্টা করছেন কোন ওষুধের সবথেকে বেশি কাজে দেয় কিন্তু সেভাবে ভ্যাকসিন বের হলেও, তাকে আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই এই পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ার গবেষকদের দ্বারা সৃষ্টি অ্যান্টি ড্রাগ ভাইরাল নানা মহলে আশার আলো তৈরি করেছে। যদি সত্যি সত্যিই ইঁদুরের শরীরে সফলতার পর মানবশরীরেও এই ড্রাগ করোনা ভাইরাসকে নির্মূল করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে, তাহলে তা হতাশার মাঝে বড় আসার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সব মিলিয়ে দীর্ঘ গবেষণার পর মানব শরীরে এই ড্রাগ প্রয়োগ করলে করোনা ভাইরাসকে নির্মূল করতে তা কতটা সফলতা অর্জন করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -