এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কাটমানি খাওয়া তৃণমূল নেতাদের খুঁজে বার করতে উঠে পরে লাগল টীম পিকে! ঘুম উড়ছে বহু প্রভাশালীর?

কাটমানি খাওয়া তৃণমূল নেতাদের খুঁজে বার করতে উঠে পরে লাগল টীম পিকে! ঘুম উড়ছে বহু প্রভাশালীর?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত লোকসভা নির্বাচনে দুর্নীতির কারণে যে তৃণমূলের ফলাফল অনেকটাই খারাপ হয়েছে, তা দলের দায়িত্ব নিয়েই বুঝে গিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। আর তার পরেই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে তিনি দলের সমস্ত স্তরের নেতাদের বার্তা দিয়েছিলেন, কেউ যেন কোনোভাবেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না হন।

কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে হোক কিংবা অন্য ঘটনায় তৃণমূল নেতারা নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ময়দানে নামার উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার প্রশান্ত কিশোরের তরফ থেকে কাটমানি খাওয়া নেতাদের দিকে নজর দেওয়া হল।

বস্তুত, কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের অনেক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। দলের তরফে বারবার কড়া বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও, জেলা পরিষদের অনেক জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতের অনেক জনপ্রতিনিধি এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছেন। যাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা ক্রমশ তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে নানা কাজের টেন্ডারের আগেই কাটমানির টাকা জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতার বাড়িতে পৌঁছে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আর এই পরিস্থিতিতে সামনে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোটা ঘটনায় যাতে দল অস্বস্তিতে না পড়ে, তার জন্য এখন সেই সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের টিম‌। ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফ থেকে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নেতাদের নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে। যা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে সেইসমস্ত নেতার বিরুদ্ধে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কড়া ব্যবস্থা নেবে বলে মনে করছে একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “দল স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষকেই দায়িত্ব দিচ্ছে। সেই হিসেবে নানা তথ্য রাজ্য নেতৃত্বের কাছে যাচ্ছে। টিম পিকেও নিজেদের মত করে কাজ করছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তা দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” তবে বিজেপির পক্ষ থেকে গোটা ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ব্যাপকভাবে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা বলেন, “তৃণমূল দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে, এটা সবাই জানে। আর কাটমানি ছাড়া যে কোনো কাজ হয় না, তা গ্রামের একটি শিশুও জানে।” তবে প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফে হোক বা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে, এভাবে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নেতাদের নাম লিপিবদ্ধ করে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়াস তৃণমূলের পক্ষ থেকে চালানো হলেও, কত নেতার বিরুদ্ধে তৃণমূল ব্যবস্থা নেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই।

কমবেশি প্রায় প্রত্যেকেই একের পর এক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন। ফলে যদি প্রত্যেকেই এভাবে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস, তাহলে ঠগ বাছতে গা উজাড় হয়ে যাবে বলেই মনে করছে বিরোধীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!