প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এমনটা যে হবে, তা আগেভাগেই আশঙ্কা করা হয়েছিল। নির্ধারিত সময় মেনে আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দেয়নি রাজ্য সরকার। এমনকি তার জন্য কোনোরূপ বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত জারি করেনি। যার ফলে ফের সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে সরকারি কর্মচারীদের একটা অংশ মামলা দায়ের করেছেন। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার যদি সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার ফলে নিজেদের দেওয়া নির্দেশ পূরণ না হওয়ার কারণে রাজ্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তাহলে চরম সংকটের মুখে পড়ে যেতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কি ঘটনা ঘটেছে?

জানা গিয়েছে, বকেয়া ডিএ মামলায় ইতিমধ্যেই রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত মে মাসের ১৬ তারিখে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের কর্মচারীদের ২৫ শতাংশ হারে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে বলে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়। কিন্তু তারপরেও রাজ্য সরকার তা দেয়নি বলেই অভিযোগ। যার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মচারীদের একটা অংশ সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে এই ব্যাপারে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা কারীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে বেতন ফেরত না নিলেও সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে বলছে, আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছে রাজ্য। দুইক্ষেত্রে সরকারের এই আলাদা বক্তব্যকেই তুলে ধরে রাজ্যকে চাপে ফেলে দিচ্ছেন সরকারি কর্মচারীদের একটা বড় অংশ।

বিরোধীদের দাবি, এই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে হাইকোর্ট, কাউকেই মানে না। তারা মনে করে, তারা নিজেরাই আদালত। আর সেই কারণেই আদালতের নির্দেশের পরেও তাকে তোয়াক্কা না করে সেই নির্দেশ পালন করা হয়নি। যার ফলে এই রাজ্যে সরকারি কর্মচারীরা চূড়ান্ত সংকটের মুখে রয়েছেনৃ তাই রাজ্যকে শিক্ষা দিতে সরকারি কর্মচারীদের একটা অংশ আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা দায়ের করেছেন, তা অত্যন্ত সাধুবাদ যোগ্য বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। তবে এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে যদি সঠিক ভাবে গোটা পদ্ধতি এগোয়, তাহলে কিন্তু চরম ফাপড়ের মুখে পড়ে যেতে পারে নবান্ন বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।