এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভোট বড় বালাই! নির্বাচনের মুখে তৃণমূলের মুখে হাসি ফুটিয়ে বিভেদ ভুলে একমঞ্চে দুই হেভিওয়েট

ভোট বড় বালাই! নির্বাচনের মুখে তৃণমূলের মুখে হাসি ফুটিয়ে বিভেদ ভুলে একমঞ্চে দুই হেভিওয়েট

রাজ্যে পালাবদলের অন্যতম ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হুগলির সিঙ্গুর। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সেখানকার দুই তৃণমূল নেতা মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বনাম ছাত্র বেচারাম মান্নার মধ্যে তীব্র মতানৈক্য তৈরি হয়। এমনকি এই দুই নেতার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এমন আকার নেয়, যে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে উভয় পক্ষকে নিয়ে মিছিল করে সিঙ্গুরে ঐক্য বজায় আছে বলে প্রমাণ করবার চেষ্টা করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

এদিকে সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং বেচারাম মান্নার অনুগামীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অনেক পঞ্চায়েতেও বোর্ড গঠন থেকে বিরত থাকতে হয় শাসক দলকে। আর এরপরই বেচারাম মান্নাকে ব্লক তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রবীণ তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে। আর এরপর থেকেই বেচারাম মান্না ও তার অনুগামীদের সেইভাবে দেখা যেত না বলেই খবর।

কিন্তু আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফের সেই বেচারাম মান্নাকে ফোন করে স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় প্রার্থী রত্না দে নাগকে জেতানোর জন্য নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে। এমনকি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং বেচারাম মান্না যাতে তাদের সমস্ত দ্বন্দ্ব ভুলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে জেতান তার জন্য কড়া নির্দেশ দেয় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর দলের নির্দেশ পেয়েই এবার এক মঞ্চে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল সেই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং বেচারাম মান্নাকে।

অনেকে বলছেন, ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না‌। সিঙ্গুরই একদা পরিবর্তনের সরকারকে এনে দিয়েছিল। আর তাই সেই সিঙ্গুরের এই এই দুই তৃণমূল নেতার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে যে অনেকটাই বাজে প্রভাব পড়তে পারে, তার জন্যেই সেই কথা অনুধাবন করেই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এদিন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগকে জেতানোর জন্য সেই দুই তৃণমূল নেতা বেচারাম মান্না এবং রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে এক মঞ্চে বসিয়ে প্রমাণ করবার চেষ্টা করলেন যে তৃণমূলের ঐক্য এখনও বজায় রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না বলেন, “সিঙ্গুরের মানুষের জন্য দলনেত্রীর একটা আলাদা আবেগ রয়েছে। আর তার সেই আস্থা ও ভাবাবেগে যাতে আঘাত না লাগে তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।” অন্যদিকে একইভাবে এই মঞ্চ থেকেই সিঙ্গুরের তৃণমূল নেতা তথা মাষ্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দলনেত্রী। তিনি যা নির্দেশ দেবেন তা আমাদের পালন করতে হবে। তাই সভা থেকে গিয়েই হুগলি বিধানসভায় যাতে সিঙ্গুর রেকর্ড পরিমান লিড দিতে পারে তার জন্য সকলে কাজ শুরু করে দেবেন।”

অন্যদিকে দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল ভুলে সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফের তৃণমূলকে জেতাবেন বলে জানান হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগ। সব মিলিয়ে এবার নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে সিঙ্গুরের দুই নেতা বেচারাম মান্না এবং রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে এক মঞ্চে বসিয়ে তৃণমূলের ঐক্য বজায় রয়েছে বলে প্রমাণ করতে মরিয়া চেষ্টা চালালেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে ঘাসফুল শিবিরের এই চেষ্টা আদৌ সাফল্য পায় কিনা এখন তার জন্য তাকিয়ে থাকতেই হবে আগামী 23 মের দিকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!