এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বিজেপির ‘সাম্প্রদায়িক হাত’ গুঁড়িয়ে দেবার হুমকি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর

বিজেপির ‘সাম্প্রদায়িক হাত’ গুঁড়িয়ে দেবার হুমকি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর

পশ্চিমবাংলায় সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানোর চেষ্টা করা হলে বিজেপিদের হাত গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিলেন তৃণমূলের কৃষকসভার রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। গতকাল ময়নাগুড়ি রোড হাট ময়দানে কৃষক ক্ষেতমজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বললেন, বাংলার কোনো বুথেই আগামী নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর যে চিহ্ন পাওয়া যাবে না তা গত সবং নির্বাচনেই প্রমান হয়ে গেছে। আর বিজেপির পায়ের নীচের মাটি খসে যাবার ভয়ে সমগ্র বাংলায় সাম্প্রদায়িক লড়াই লাগাতে ষড়যন্ত্র পাকাচ্ছে তারা। গতকালের সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী, সংসদ সদস্য বিজয়চন্দ্র বর্মন প্রমুখ নেতৃত্বরা।

বেচারামবাবু আরো বলেন, বাংলার প্রাক্তন শাসকদল সিপিএমের দীর্ঘ ৩৪ বছরের শাসনকালে প্রায় ৩,১০০ জন কৃষক আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিতে বাধ্য হয়েছিল। তাদের অত্যাচার, দাঙ্গা, শোষণে মানুষ অতিষ্ঠ হয়েই নতুন শাসক এনেছে বাংলায়, আর সেই সিপিএম এখন লুকিয়ে পড়েছে। তৃণমূল শাসনে আসার পর কোনো বদলার রাজনীতির আশ্রয় নেয়নি, কারণ মুখ্যমন্ত্রীর স্লোগান ছিল বদলা নয় বদল চায়। তিনি আরো বলেন, বিজেপি এবং সিপিএম গোপনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোট গঠন করছে, কিন্তু তারা ভুলে যাচ্ছে বাংলার মানুষ তাদের পাশে নেই। বাংলার মানুষ আগামী উলুবেড়িয়া ও নোয়াপাড়ার নির্বাচনেও বিজেপির গালে চড় কোষে জানিয়ে দেবেন তাঁদের উত্তর।

বিজেপি প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের উন্নয়ন খাতে বরাদ্দের পরিমান কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি গত বন্যায় আসাম ও বিহারের চাষীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও রাজ্যের চাষীদের কথা একটি বারের জন্য ভাবেনি কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী তখন নিজের আর্থিক তহবিল থেকে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেন। ওই সভা থেকে তিনি দলত্যাগী নেতা মুকুল রায়কেও বিঁধতে ছাড়েননি। নাম না করে মুকুল রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার ভাত খেলে যেমন অবশিষ্ট পরে থাকে, সেই রকম কিছু নেতা দল ছেড়ে চলে গেলে তাতে দলের কোনো ক্ষতি হয় না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!