ফাইনাল ম্যাচে কারা জিতবে, জানিয়ে দিলেন অনুব্রত! তুঙ্গে জল্পনা! তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য February 9, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনীতিটা যেন এখন খেলার গড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রিকেটারদের মতই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপি, দু’পক্ষই মন্তব্য করতে শুরু করেছে, “খেলা হবে”। কিন্তু কিসের খেলা হবে! তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই। এবারের নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপির দু পক্ষের কাছে কার্যত বড় চ্যালেঞ্জ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেদিক থেকে দুই দলের নেতারাই আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে এখন থেকেই “খেলা হবে” বলে একে অপরের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে শুরু করেছেন। কিন্তু সেই খেলায় কারা জয়লাভ করবে, তা কেউ জানেন না। তবে ম্যাচ এবং মাঠ দুটোই যাতে তাদের দখলে থাকে তার জন্য এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। কেউ কেউ আবার আগবাড়িয়ে খেলা হওয়ার আগেই অর্থাৎ ভোট ঘোষণা হওয়ার আগেই দাবি করতে শুরু করেছেন, এবারে তারাই জয়লাভ করবেন। ঠিক সেরকমই কথা শোনা গেল বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গলায়। ভোটের সময় এমনিতেই চমকপ্রদ মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই হেভিওয়েট নেতা। আর এবার ফাইনাল ম্যাচে তারাই জয়লাভ করবেন বলে দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অনুগত সৈনিক। সূত্রের খবর, এদিন সিউড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ের সিউড়ী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন অনুব্রতবাবু। আর সেখানেই ভোটের রণকৌশল সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। আর তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দাবি করতে দেখা যায় তাকে। তিনি বলেন, “খেলা তো এখনও শুরুই হয়নি। তাহলে শেষ কী করে হল? খেলা সবে শুরু হয়েছে। আর খেলার ফাইনালে আমরাই জিতব। এরা সবাই খেলোয়াড়। দেখে কি মনে হচ্ছে আমরা ক্লান্ত? কেমন স্পিড দেখতে পাচ্ছেন না।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, প্রতিপক্ষ টিমের খেলোয়ার সব সময় চেষ্টা করে তার বিপরীত টিমে থাকা খেলোয়াড়দের মনে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার। ঠিক সেই কাজটাই করলেন অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূলের পাকাপোক্ত নেতা হিসেবে সকলেই প্রস্তুত বলে ফাইনাল ম্যাচে তারাই জিতবে এমনটাই আত্মপ্রত্যয় প্রকাশ করতে দেখা গেল তাকে। অর্থাৎ বিজেপি যে তাদের কাছে কোনোরকম ভাবেই ফ্যাক্টর নয়, তা বোঝানোর চেষ্টা করলেন বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বেসর্বা। বলা বাহুল্য, গত লোকসভা নির্বাচনে এই অনুব্রত মণ্ডল কার্যত বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 42 এ 42 পাবেন। এমনকি এটা যদি না হয়, তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলেও প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। কিন্তু 42 এ 42 যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাননি, ঠিক তেমনই রাজনীতিও ছেড়ে দেননি অনুব্রত মণ্ডল। পরবর্তীতে অবশ্য সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে যখন এই কথা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি জানিয়ে দেন, ভোটের সময় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে অনেকেই অনেক কিছু বলে থাকেন। তিনিও বলেছেন। অর্থাৎ তাঁর অতীতের কথা যে শুধুমাত্র কথার কথা ছিল, তা পরবর্তীতে স্পষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে অনুব্রত মণ্ডলের সেই মন্তব্যকে নিয়ে বিরোধীদের তরফ থেকে খোঁচা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই সামনে একটা বড় নির্বাচন। এই নির্বাচন স্থির করে দেবে, আগামী দিনে নবান্ন কারা দখল করবে। দিনকে দিন বিজেপির প্রভাব বাড়ছে। তাই আবারও ফাইনাল ম্যাচে তারা জিতবে বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন সেই অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু অতীতের মত শুধুমাত্র কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করবার জন্যই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি একথা বললেন? না কি তিনি যা বললেন, তা বাস্তবেও করে দেখাতে সক্ষম হবেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -