এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের বেলাগাম মমতা, অমিত শাহকে “রাক্ষস” বলে আক্রমণ!

ফের বেলাগাম মমতা, অমিত শাহকে “রাক্ষস” বলে আক্রমণ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই একে অপরের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করতে গিয়ে রীতীমত বেলাগাম মন্তব্য করে ফেলছেন নেতা-নেত্রীরা। মাঝেমধ্যেই রাজ্যে এসে বিজেপির হয়ে ঝড় তুলছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। পাল্টা নির্বাচনী সভা থেকে সেই বিজেপি নেতা নেত্রীদের কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সরাসরি নাম না করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে রীতীমত রাক্ষস বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেত্রী।

স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর গলা থেকে এই রকম শব্দ প্রয়োগ নিয়ে এখন রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন বারবার বেলাগাম মন্তব্য করছেন নেতা-নেত্রীরা! তৃণমূলের ছোট থেকে বড়, মাঝারি সমস্ত স্তরের নেতাদের মুখে এই রকম মন্তব্যকে স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া হলেও, কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত দলের সর্বোচ্চ নেত্রী এই ধরনের মন্তব্য করলেন! এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোনার নির্বাচনী সভা থেকে অমিত শাহের নাম না করে তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “দিল্লির এক হোদল কুতকুতে মন্ত্রী আছে। বলছে, বাংলাকে দেখে নেবে। কি দেখবে! রাক্ষস নাকি যে, বাংলাকে গিলে খাবে! মমতাকে গিলে খাবে? জেনে রাখো, আমাকে গিলে খেলে আমি পেট ফুরে বেরিয়ে আসবো।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল নেত্রীর পরিচয় বাদেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সেদিক থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাই রাজনৈতিক সম্পর্কের ঊর্ধ্বে উঠে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সম্পর্ককেও বাদ রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে অমিত শাহকে “রাক্ষস” বলে নাম না করে আক্রমণ করলেন, তাতে রীতিমত শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

একাংশের দাবি, রাজনীতিতে এবার ভাষা-সংস্কৃতি কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। যে বাংলা রবিঠাকুর, নেতাজির জন্ম দিয়েছে, সেই বাংলায় নেতা-নেত্রীদের মুখ থেকে এই ধরনের ভাষা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের দাবি, তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়।

কিন্তু এমন মেয়ে কি সত্যিই বাংলার মানুষ চায়? যিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হোদল কুতকুত এবং রাক্ষস বলে কটাক্ষ করছেন! এটা তো বাংলার সংস্কৃতির পরিচয় নয়। অনেকে বলছেন, সত্যিই তো তাই! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের দিকে প্রশ্ন তোলেন, তারা বাংলার সংস্কৃতি জানে না। কিন্তু রাজনৈতিক সম্পর্কের ঊর্ধ্বে উঠে একজন জনপ্রতিনিধি তথা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে এই ধরনের মন্তব্য কি সত্যিই শোভা পায়! এখন তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!