এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গেরুয়া শিবিরের নতুন ভিডিও প্রবল রাজনৈতিক চর্চায়, সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগ তৃণমূলের

গেরুয়া শিবিরের নতুন ভিডিও প্রবল রাজনৈতিক চর্চায়, সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগ তৃণমূলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  কিছুদিন আগে বেশকিছু টলি তারকা মিলিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। মূলত তাঁদের লক্ষ্য যে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের দিকে, সে কথা বুঝতে কারোরই অসুবিধা হয়নি। নির্বাচনের মুখে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে। একের পর এক মানুষ সেই ভিডিও দেখে এবং গানের সুরে সুর মেলায়। কিন্তু পিছিয়ে থাকার পাত্র নয় বিজেপিও। তাই চতুর্থ দফা ভোটের আগে পাল্টা গানের ভিডিও এসেছে বিজেপির পক্ষ থেকে। আর যে গানে গলা মেলাতে দেখা দিয়েছে দুই বিজেপি প্রার্থী টালিগঞ্জের বাবুল সুপ্রিয় এবং ভবানীপুরের রুদ্রনীল ঘোষকে। আর এই গান নিয়েই শুরু হয়েছে এই মুহূর্তে ব্যাপক চর্চা।

আর বিজেপির এই গানের ভিডিও নিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাতে চলেছে তৃণমূল। তার কারণ, তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে গানটির মধ্যে এমন কিছু বিষয় নিয়ে আসা হয়েছে যেখান থেকে সাম্প্রদায়িক হিংসা তৈরি হতে পারে আগামী দিনের নির্বাচনের আবহে। এদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করা হয় যেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি জানিয়েছেন, এই গানটিতে মূলত বাংলাদেশের কিছু ছবি দেখানো হয়েছে, 1946 সালের দাঙ্গার কিছু ছবি দেখানো হয়েছে যার সঙ্গে আজকের বাস্তবের কোন মিল কোথাও নেই। কিন্তু এই ভিডিওটি উপস্থাপনে দেখা গিয়েছে বিজেপির দুই প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় এবং রুদ্রনীল ঘোষকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সুতরাং ভিডিওটিতে সাম্প্রদায়িক উস্কানি রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ জানান, নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া কিংবা জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী এই ধরনের ভিডিও করা যায়না। সাংসদের দাবী, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করার কারণে এ ধরনের ভিডিও সামনে এনেছে বিজেপি। একইসাথে এই ভিডিওতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতিসহ বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেখান থেকেও শাসকদলের অভিযোগ, এই ভিডিওটির মাধ্যমে বিজেপি মিথ্যা প্রচার করছে। তাই অবিলম্বে এই ভিডিও বন্ধের দাবিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাংলার মানুষের বক্তব্য তুলে ধরতেই তাঁরা এই ভিডিও তৈরি করেছেন। এর মধ্যে কোন রকম ষড়যন্ত্র নেই। বাবুল সুপ্রিয় আবার জানিয়েছেন, ভোটের আবহে রাজনৈতিক মতবাদ নিয়ে গান তৈরি করা খুবই স্বাভাবিক। তার মধ্যে রাজনীতি খুঁজতে যাওয়া মোটেই ঠিক নয়। সব মিলিয়ে বিজেপির নতুন ভিডিও উঠে এসেছে রাজনৈতিক চর্চায়। ভোটের আবহে এ ধরনের ভিডিও আদৌ মানুষের মনে কোন প্রভাব ফেলতে পারবে কিনা তা এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারছেন না। তবে নজর এখন সবারই নির্বাচনের দিকে। লড়াই জমে উঠেছে বাংলায়।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!