প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস বুঝতে পেরেছে যে, ভোটবাক্সে তাদের পরাজয় নিশ্চিত। সেই কারণে গণনা কেন্দ্রকে টার্গেট করে সেখানে অস্থায়ী কর্মী এবং তৃণমূলের যারা নেতাকর্মী, তাদেরকে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে ইভিএমকে বদলে তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। অন্তত তেমনটাই দাবি বিজেপির। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে গতকাল নির্বাচন কমিশনের কাছে এই সমস্ত তথ্য তুলে ধরে গণনা কেন্দ্রকে সুরক্ষিত রাখার দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার হুগলির গণনাকেন্দ্রে তৃণমূলের ক্যাডারদের অবাধ প্রবেশ রুখতে বেশ কিছু নামের তালিকা জেলাশাসকের কাছে তুলে দিলেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, এদিন হুগলির গণনা কেন্দ্রের সুরক্ষা নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর সেখানেই জেলাশাসকের সাক্ষাৎ না পেলেও সহ জেলা শাসকের হাতে বেশ কিছু নামের তালিকা তুলে দিয়েছেন তিনি। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, বেশ কিছু অস্থায়ী কর্মী, যারা তৃণমূল করে, তাদেরকে গণনা কেন্দ্রের ভেতরে বিভিন্ন কাজে লাগানো হচ্ছে। আমাদের কাছে সেই তালিকা এসেছে। তাই এদেরকে সেই কাজে যুক্ত করা যাবে না। যদি এইরকম কিছু হয়ে থাকে, তাহলে সেই দিন গণনা বন্ধ থাকবে।

একাংশ বলছেন, তৃণমূল মরিয়া হয়ে শেষ পর্যন্ত গণনা কেন্দ্রে এইরকম কারচুপি করার বিভিন্ন চেষ্টা করবে। তাই লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতই সমস্ত বিজেপি প্রার্থীদের এই বিষয়টিতে মনোযোগী হতে হবে। তা না হলে জিতে গিয়েও হারের মুখ দেখতে হবে বিজেপিকে। কারণ তৃণমূলের চেষ্টাকে যেভাবে লকেট চট্টোপাধ্যায় বানচাল করে দিলেন, তা যদি সকল বিজেপি প্রার্থীরাই করতে পারেন, তাহলে তৃণমূল শূন্য হাতে বাড়ি ফিরলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।