এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গ্রেপ্তারের পর কেডির মুখে মুকুল,কৈলাশের নাম- বিতর্ক ঊর্দ্ধমুখী

গ্রেপ্তারের পর কেডির মুখে মুকুল,কৈলাশের নাম- বিতর্ক ঊর্দ্ধমুখী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য রাজনীতিতে কিছুদিন ধরেই কেডি সিং কে নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা। কেডি সিং দীর্ঘ 6 বছর ধরে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। দীর্ঘদিন ধরেই কেডি সিংয়ের ওপর নজর ছিল ইডির। অবশেষে কেডি সিংকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু গ্রেপ্তার করা হলেও কেডি সিং কিন্তু বিশেষ হেলদোল দেখাচ্ছেননা। বরং তাঁর মনে কৌতুহলী প্রশ্ন, তাঁর গ্রেপ্তারি নিয়ে মুকুল রায় কিংবা কৈলাস বিজয়বর্গীয় কি বলছেন তা নিয়ে। অন্যদিকে কেডি সিংয়ের গ্রেপ্তারি নিয়ে অনেকেই মুখ খুলেছেন। ইতিমধ্যেই মুকুল রায়ের সঙ্গে কেডি সিংয়ের সখ্যতার বর্ণনা করে মুকুলের গ্রেপ্তারির দাবী জানিয়েছেন রাজ্য তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

সূত্রের খবর, মুকুল রায়ের হাত ধরেই কিন্তু তৃণমূলে প্রবেশ করেছে কেডি সিং। আর তাই হয়তো কেডি সিংয়ের মুখে শোনা যাচ্ছে মুকুল রায়ের নাম। অন্যদিকে মুকুল রায় কেডি সিংয়ের গ্রেপ্তারি হওয়া নিয়ে বিশেষ কিছুই জানাননি। বরং পাল্টা জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূলের আর এক সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ইডি আইন মেনেই চলছে বলে তিনি দাবি করেন। রাজ্যের অন্যতম বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় অবশ্য কেডি সিংয়ের গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রশ্ন করায় পাল্টা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার কথা বলেন। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সাংসদ গ্রেপ্তার হয়েছে।

একুশের বিধানসভার নির্বাচন যখন ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে, ঠিক সেইসময় কেডি সিংয়ের গ্রেপ্তারির পিছনে কি অন্য রাজনৈতিক কারণ? এ সম্পর্কে অবশ্য কেডি সিং কোন মন্তব্য করতে চাননি। তবে এতদিন পর্যন্ত তৃণমূলের পক্ষ থেকে দলের যে কেউ সিবিআই বা ইডির হাতে গ্রেপ্তার হলেই  অভিযোগ করা হত কেন্দ্রীয় সরকারের ষড়যন্ত্রের। কিন্তু এবার কেডি সিংয়ের গ্রেপ্তারের পর বিশেষ মুখ খোলেনি তৃণমূল। আর তার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে 2016 রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের মুখে নারদ কেলেঙ্কারির স্টিং অপারেশন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার পেছনে কেডি সিংয়ের হাত থাকার কথা শোনা যায়। সেসময় স্যামু ম্যাথুয়েল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন নারদ কান্ডে তৃণমূল নেতাদের ঘুষের টোপ দেওয়ার জন্য তাঁকে 80 লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কেডি সিং। যথারীতি এরপর তৃণমূল কে ডি সিং এর সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে। তবে দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়নি। পাশাপাশি কে ডি সিং নিজেও দল ছাড়েননি নিয়মের বেড়াজালে আটকে। তবে জানা যাচ্ছে, কেডি সিং নিজে কখনো সংসদে তৃণমূলের দপ্তরে যাননি।

এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে এলেও তাঁর আশেপাশে দেখা যেত না কেডি সিং কে। এমনকি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে কেডি সিং এর নাম প্রথম দিকেই ছিল বলে জানা যায়। সব মিলিয়ে কেডি সিংয়ের গ্রেপ্তারি হওয়ায় বিশেষ মাথা ব্যথা যেমন নেই তৃণমূল শিবিরের, সেরকমই কেডি সিংয়ের সঙ্গে কোনো রকম সান্নিধ্য থাকার কথা মানতে নারাজ মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা। সব মিলিয়ে কেডি সিংয়ের গ্রেপ্তারী ইতিমধ্যে বিতর্কের তুঙ্গে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!