এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ‘প্রশাসনিক-গলদে’ স্কুলে যোগ দিতে গিয়ে হেনস্থার শিকার রাজ্যজুড়েই, আদালতে দ্বারস্থ নব্য-শিক্ষকরা

‘প্রশাসনিক-গলদে’ স্কুলে যোগ দিতে গিয়ে হেনস্থার শিকার রাজ্যজুড়েই, আদালতে দ্বারস্থ নব্য-শিক্ষকরা


স্কুলে যেই বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন সেই বিষয়ে শিক্ষক না দিয়ে শূন্যপদ না থাকা বিষয়গুলিতে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সম্প্রতি উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল। যেখানে মৃত্যু হয় দুই ছাত্রেরও। কিন্তু শুধু দাড়িভিট নয়, যে  ইস্যুকে নিয়ে গন্ডগোল সেই ইস্যুতে রাজ্যে ছড়িয়ে আছে আরও অনেক দাড়িভিট।

তফাৎ একটাই, দাড়িভিটে এই নিয়ে অশান্তি হলেও অন্য কোনো জায়গায় উত্তেজনা নিজেদের মধ্যে প্রশমিত রেখেছিল সদ্য নিয়োগপত্র হাতে পাওয়া শিক্ষক শিক্ষিকারা। কিন্তু আর নয়, এবারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের একটি স্কুলে কাজে যোগ দিতে যাওয়া দেবস্মিতা মন্ডল দ্বারস্থ হচ্ছেন কোলকাতা হাইকোর্টের। কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল এই দেবস্মিতা মন্ডলের সাথে?

সূত্রের খবর, এসসির পরীক্ষা এবং কাউন্সেলিংয়ের প্যানেলে 31 নম্বরে নাম ছিল এই দেবস্মিতা মন্ডলের। পর্ষদ সভাপতির তরফ থেকে নিয়োগপত্র পাওয়ার পর তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের একটি বিদ্যালয়ে ইংরেজীর শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দিতে গেলে সেখানকার বিদ্যালয় কতৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয় যে,  এই বিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ইংরেজির কোনো পদ শূন্য নেই। আর এরপরে জেলার স্কুল পরিদর্শকের পক্ষ থেকেও এই দেবস্মিতা মন্ডলকে অন্য স্কুলে পাঠাতে চেয়ে বিকাশ ভবনে জানানো হয়। আর এতেই চরম বীতশ্রদ্ধ হন সেই দেবস্মিতা মন্ডল। জেলা স্কুল পরিদর্শকের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি মামলাও দায়ের করেন তিনি।

সূত্রের খবর, এই ব্যাপারে সেই দেবস্মিতা মন্ডলের আইনজীবী শক্তিপদ জানা বেশ কিছু প্রশ্নও তোলেন। যদি বিদ্যালয়ের শূন্যপদ নাই থাকে তাহলে কিসের ভিত্তিতে এই পদের নির্বাচন হল? পদ ফাকা না থাকলেও কেনই বা প্যানেলের 31 নম্বর প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হল? মাধ্যমিক স্তরে ইংরেজি শিক্ষকের পদ শূন্য থাকলে তা উচ্চমাধ্যমিকে উন্নীত করা যায়, সেই চেষ্টা আদৌ হয়েছিল কি? নিয়োগপত্র পাওয়ায় 15 দিনের মধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীকে নিজের কাজে যোগ দিতে হয়।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু তা তো সম্ভবই হয়নি এই দেবস্মিতা মন্ডলের ক্ষেত্রে। ফলে দেবস্মিস্তা মন্ডলের ভবিষ্যত কি হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর আইনজীবি। সূত্রের খবর, এইসব শুনে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্কুল পরিদর্শক এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে এইব্যাপারে যাবতীয় রিপোর্ট আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আগামী 10 অক্টোবর এই মামলার শুনানির পরবর্তী দিন হিসাবে ধার্য করেছে আদালত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!