এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সাব্বাস, ক্ষমতার মধু খাবেন ভাইপো! আর নীরব থাকবেন মমতা? বিজেপির প্রশ্নবানে জেরবার তৃনমূল!

সাব্বাস, ক্ষমতার মধু খাবেন ভাইপো! আর নীরব থাকবেন মমতা? বিজেপির প্রশ্নবানে জেরবার তৃনমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একশো দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে, সেই কারণে তা বন্ধ করতে রাজ্যের কাছে হিসেব চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে হিসেব না দেওয়ার কারণে রাজ্যের টাকা বন্ধ রাখা হয়েছে। আর তা নিয়েই নাকে কান্না কাঁদতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা। দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আবার দাবি করেছেন, দুর্নীতি যে হয়েছে, তার জন্য কেন এতদিন কোথাও এফআইআর হয়নি! এফআইআর না করলে পুলিশ কি করে ব্যবস্থা নেবে? এফআই আর টুকু তো করতে হবে। আর যুবরাজের এই মিষ্টি মিষ্টি কথা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বিরোধী দল বিজেপি।

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লি থেকে কলকাতায় নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনেক বড় বড় দাবি করেছেন অভিষেকবাবু। তিনি বলেছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার মিথ্যেভাবে এই টাকা আটকে রেখেছে। যা তিনি বলে থাকেন বেশিরভাগ সময়, এদিনও সেটাই বলেছেন। তার পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একটি কথা বলেছেন, সেটি হলো, তার বক্তব্য যে, দুর্নীতি যে হয়েছে, তার জন্য তো এফআইআর করতে হবে। কেন এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যের কোথাও এই ব্যাপারে এফআইআর করা হয়নি? আর এখানেই বিজেপি প্রশ্ন করছে যে, রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল,  চুরি আটকানোর দায়িত্ব তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের। তারা তা না করে এখন উল্টে বিরোধীদের ঘাড়েই দোষ চাপাচ্ছে যে, বিরোধীদের নাকি এই ব্যাপারে এফআইআর করতে হবে! সত্যিই বুজরুকি এবং মিথ্যে গল্প ফাদতে হলেও একটা কোয়ালিটি দরকার। যা বাংলার যুবরাজের মধ্যে নেই বলেই কটাক্ষ সমালোচকদের।

গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, রাজ্যে দুর্নীতি ধরেছেন বিজেপি নেতারাই। আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার সেই দুর্নীতি বন্ধ করতে রাজ্যের কাছে হিসাব চেয়েছেন। তা না হলে আজকের দিনেও রাজ্যের মানুষ সমানভাবে এই তৃণমূল নেতাদের দ্বারা প্রতারিত হতেন। তাই রাজ্যের কাছে হিসাব নিয়েই টাকা দেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্র। কিন্তু তাতেও অভিষেকবাবুর রাগ যে, কেন তাদের টাকা আটকে রাখা হবে! কিন্তু এসব বলে কোনো লাভ হবে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়  বলছেন যে, কেন এফআইআর হয়নি, তাহলে তার পুলিশ কি করছিল? তাদের পুলিশ নাকি সব দিকে নজর রাখে! কেন এত বড় দুর্নীতি হওয়ার পরেও কেন্দ্রীয় সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হলো? কেন আগেভাগেই পদক্ষেপ গ্রহণ করল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন এবং তৃণমূল সরকার? তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এফআইআর না হওয়ার কারণটিকে এমনি এমনি ব্যাখ্যা করেননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ তিনি খুব ভালো করে জানেন যে, এরপর রাজ্য প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও প্রশ্ন তুলবে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই তারা বলতে শুরু করেছে যে, রাজ্যে কি এমন প্রশাসন রয়েছে যে, তারা এই চুরি ধরতে পারল না? ফলে প্রশাসনের অপরিপক্ক মনোভাব নিয়েও একটা প্রশ্ন সর্বত্র তৈরি হয়েছে। তাই আগেভাগেই তাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য “এফআইআর কেন কেউ করেনি” তা নিয়ে আজব প্রশ্ন করে বসলেন বাংলার যুবরাজ। যা শুনে অনেকে বলছেন, ক্ষমতার মধু খাবেন ভাইপো, তৃণমূল নেতাদের আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে উঠবে, আর নীরবতা পালন করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। এই তো রাজ্যের অবস্থা। আর এফআইআর না হলে যুবরাজ বড় বড় গলায় বলবেন, এফআইআর কেন হয়নি! সত্যি এটাই বিচিত্র বঙ্গের নতুন রূপ। কটাক্ষ করে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!