এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একশো দিনের কাজ করিয়েও টাকা বন্ধ কেন? অভিষেকের প্রশ্নে বড় জবাব বিজেপির! উত্তর দেবে তৃনমূল?

একশো দিনের কাজ করিয়েও টাকা বন্ধ কেন? অভিষেকের প্রশ্নে বড় জবাব বিজেপির! উত্তর দেবে তৃনমূল?


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লি থেকে ধর্না, বিক্ষোভের নাটক করে আসার পর এবার রাজ্যপালের কাছে যেতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লি থেকে নেমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আবার দাবি করেছেন যে, একশো দিনের কাজ যে সমস্ত মানুষদের দিয়ে করিয়ে নেওয়া হয়েছে, তাদেরকে কেন টাকা দেওয়া হচ্ছে না? এটা কেন্দ্রীয় সরকার করতে পারে না। কিন্তু এখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা চাপে রেখে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করছে বিজেপি। তাদের দাবি, বাংলাকে বঞ্চনা করার যে অভিযোগ তৃণমূল করছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন। একশো দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে, এটা প্রমাণিত। দুর্নীতি বন্ধ করলেই এবং আগের দেওয়া টাকার হিসাব দিলেই সব টাকা পেয়ে যাবে রাজ্য সরকার। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির এই যুক্তির কাছে পড়ে তৃণমূল কি জবাব দেবে, তার দিকেই নজর রাখছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বাংলা থেকে 50 লক্ষ মানুষের চিঠি সেখানে জমা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল সেখানে এতটাই অসভ্যতা করেছে যে, শেষ পর্যন্ত পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে বলেই দাবি বিরোধীদের। আর এসবের মধ্যেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে সেই চিঠি জমা দিতে না পেরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বলছেন যে, কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্যে রয়েছেন রাজ্যপাল। তাই তার কাছে সেই চিঠি তারা জমা দেবেন। আজ তাদের রাজভবন চলো কর্মসূচি। পাশাপাশি বাংলার যুবরাজ গতকাল রাতে কলকাতায় নেমে বড় গলায় দাবি করেছেন যে, 20 লক্ষ মানুষ একশো দিনের কাজ করেছেন। তাই কাজ করেও তাদের টাকা না দিয়ে তো অন্যায় করেছে বিজেপি। তাদের তো এই টাকাটুকু দিতে হবে। কিন্তু এখানেই বিরোধীরা পাল্টা যুক্তি দিচ্ছে।

তাদের বক্তব্য, অভিষেকবাবু সবটাই তো আর পশ্চিমবঙ্গ পেয়ে যাননি। বাংলায় আইনের শাসন নেই, বাংলায় পুলিশ প্রশাসনের মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গোটা দেশে তো তা হয়নি। গোটা দেশে নিয়ম কানুন বলে একটা বিষয় রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার দেখেছে, লক্ষ্য রেখেছে যে, বাংলায় একশো দিনের কাজের দুর্নীতি হয়েছে। তাই তারা টাকা বন্ধ রেখে রাজ্যকে বলেছে যে, আপনারা হিসাব দিন। তারপর টাকা নিয়ে নিন। কিন্তু এটাতে রাজ্যের কিসের এত আপত্তি? তারা নাকি মানবদরদী সরকার! তাদের নাকি গরিব মানুষদের টাকা না পাওয়ার কারণে চোখ দিয়ে জল পড়ছে! চোখের জল নাকি আটকে রাখতে পারছেন না বাংলার যুবরাজ! তাহলে এই সহজ পদ্ধতি পালন করলেই তো রাজ্য সরকারকে টাকা দিয়ে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তা না করে কেন্দ্রের প্রতি এই ধরনের গা জোয়ারি কেন করছেন বাংলার যুবরাজ? তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজনীতি করার জন্যই বাংলার যুবরাজ এই ধরনের কার্যকলাপ করছে। আসলে তাকে তো এবার সামনে আসতে হবে। সেই কারণেই আন্দোলনের নামে এই ধরনের মিথ্যাচার। কিন্তু দুর্নীতি করে আবার টাকা নেওয়ার যে চালাকি বুদ্ধি তৃণমূল করছে, তা এবার আর কাজে দেবে না। কেন্দ্রীয় সরকার খুব ভালো মতো বুঝে গিয়েছে, হিসাব না দিলে এই রাজ্যকে টাকা দেওয়া যাবে না। তাই তারা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। ফলে তৃনমূল যতই আন্দোলন করুন, যতই মানব দরদী ভূমিকা সামনে আনার চেষ্টা করুন না কেন, তাতে চিড়ে ভিজবে না। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!