এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হঠাৎ অফিস থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরিয়ে দিলেন বিজেপির এই বিধায়ক, এবার কি তবে দলবদলের পথে?

হঠাৎ অফিস থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরিয়ে দিলেন বিজেপির এই বিধায়ক, এবার কি তবে দলবদলের পথে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই বিজেপিতে ক্রমাগত ভাঙ্গন চলছে। একের পর এক বিধায়ক দল ছাড়তে শুরু করেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর দল ছেড়েছেন মুকুল রায়, বিশ্বজিৎ দাস, তন্ময় ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয়। আর এবার জল্পনা বাড়ছে রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিয়ে। দলের বিরুদ্ধে একাধিকবার বেসুরো মন্তব্য করতে দেখা গেছে তাঁকে। কটাক্ষ করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকে নিয়ে। আর এবার নিজের অফিস থেকেই খুলে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাইনবোর্ড। যা থেকে বাড়তে শুরু করেছে তীব্র জল্পনা।

রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী নিজের অফিস থেকে বিজেপির আর নয় অন্যায় স্লোগান দেওয়া সাইনবোর্ড খুলে ফেলেছেন। যেখানে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা ও দিলীপ ঘোষের ছবি ছিল। তাঁর এই পদক্ষেপ তুলে দিয়েছে নানা প্রশ্ন। তবে এ প্রসঙ্গে বিধায়ক জানিয়েছেন যে, এই সাইনবোর্ডটির একদিক নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। তাই তা মেরামতের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। যদি মেরামত করা যায়, তবে তা মেরামত করা হবে। না হলে নতুন করে আবার সাইন বোর্ড বসানো হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি তৃণমূলে যোগদান করবেন কিনা? এ বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। গণমাধ্যমের সামনে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী জানিয়েছিলেন যে, চিন্তাভাবনা করছেন। তবে সঠিক সময় এলে সব কিছু জানা যাবে। কিন্তু কিছুদিন আগেই দলের বিরুদ্ধে বেসুরো মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। তিনি জানিয়েছিলেন, যারা বিজেপি ছেড়ে যাচ্ছেন, তারা কিন্তু অসম্মানিত হয়েই যাচ্ছেন। দলে কারা অসম্মানিত হচ্ছেন? সেটা দেখার দরকার আছে। দলের সমস্ত কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন তিনি। প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি দলকে সময় দিয়েছিলেন। সেই সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত তিনি চিন্তাভাবনা করে দেখবেন।

আবার ইতিপূর্বে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন যে, রায়গঞ্জ থেকে বিধানসভা ভোটে টিকিট চেয়েছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তিনিও ছিলেন। পরে জেনে ছিলেন, রাজ্য বিজেপি সভাপতি হতে পারেন দেবশ্রী চৌধুরী। তিনি জানিয়েছিলেন, দেবশ্রী চৌধুরীকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি করা হলে ১০ জন বিধায়কও আর থাকবেনা বিজেপিতে। তাঁর এই বক্তব্যের পাল্টা জবাবে দেবশ্রী চৌধুরী জানিয়েছিলেন যে, কৃষ্ণ কল্যাণীর মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাঁর ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে চান না। তিনি সংগঠন থেকেই এসেছেন।

বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে যেভাবে ভাঙ্গনের পালা শুরু হয়েছে বিজেপিতে, যেভাবে দলের একের পর এক হেভিওয়েটরা দল ছাড়তে শুরু করেছেন। বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব তৃণমূলে আসার জন্য পা বাড়িয়েছেন, এমন দাবি যখন বার বার করেছে তৃণমূল, এই পরিস্থিতিতে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর এই পদক্ষেপ যথেষ্ট জল্পনার সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!