এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এনআরসি আটকাতে প্রয়োজনে ‘জঙ্গি রাজনীতি’! স্পষ্ট করলেন সূর্য্যকান্ত মিশ্র

এনআরসি আটকাতে প্রয়োজনে ‘জঙ্গি রাজনীতি’! স্পষ্ট করলেন সূর্য্যকান্ত মিশ্র


লোকসভা ভোটের পর থেকেই কেন্দ্রে বিজেপি নেতৃত্ব এনআরসি নিয়ে তৎপর হয়েছে। এনআরসি বা নাগরিক পঞ্জিকার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছিল আসাম থেকে। এনআরসি হওয়ার পর দেখা যায়, আসাম থেকে 19 লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। যার মধ্যে 11 লক্ষ হিন্দু বলে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় সারা দেশজুড়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। আর এই বিতর্ককে সঙ্গী করে এনআরসি আতঙ্কে একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে চলেছে এই রাজ্যে।

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দাবি, সম্পূর্ণ গুজবে কান দিয়ে এ রাজ্যের সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছে যার ফলে একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এনআরসি ইস্যু নিয়ে বিজেপি তাঁদের দাবি বা বক্তব্য থেকে কোনোমতেই সরছে না। আর এবার বিজেপির এনআরসি নীতি আটকাতে জঙ্গি আন্দোলনের হুমকি দিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র।

এনআরসি সংক্রান্ত নাগরিকপঞ্জি নিয়ে এ বার সরাসরি বিজেপিকে হুমকি দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। রবিবার হাওড়ার সভা থেকে সূর্যকান্ত মিশ্র পরিষ্কার জানান, পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকপঞ্জি তৈরি করতে গিয়ে যদি কোন ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করা হয়, তাহলে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।

এদিন তিনি আরো বলেন, আসামে নাগরিকপঞ্জি থেকে সবথেকে বেশি বাদ পড়েছেন হিন্দুরা। বাংলাদেশ যদি এই হিন্দুদের থাকতে না দেয়, তাহলে এ দেশেও ওই হিন্দুরা থাকতে পারবেন না। তাহলে তাঁরা যাবেন কোথায়? যদি এরাজ্যে এরকম কোন নিয়ম চালু হয়, আর তার সাথে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হয়, তাহলে সেই ডিটেনশন ক্যাম্প ভেঙে দেওয়া হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্য সিপিএম সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র আরো জানান, পশ্চিমবঙ্গের কাউকেই কাঁটাতারের ওপারে পাঠানো যাবে না। এনআরসি নিয়ে যা শুরু হয়েছে তাতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত। কি কারণে 2004 সাল পর্যন্ত আসা মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে ? অথচ মুসলমানদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া হলে তা সংবিধানবিরোধী বলেই মানা হবে।

দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে সূর্যকান্ত মিশ্র জানান, ইভিপি অর্থাৎ ইলেকটর্স ভেরিফিকেশন প্রসেস নিয়ে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের বোঝাতে হবে। এনআরসি বিরোধিতা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের প্রতিবাদ, ধর্মীয় বিভাজন এর প্রতিবাদসহ বিভিন্ন বিষয়ে মানুষকে অবগত করাতে হবে।

তবে এত কিছুর মধ্যেও বিজেপি নেতৃত্ব এনআরসি নিয়ে তাঁদের দাবি থেকে পিছু হটছে না। বিজেপি প্রথম থেকেই বলে আসছে, অনুপ্রবেশ আটকাতে একমাত্র হাতিয়ার এন আর সি। অনুপ্রবেশের ফলে প্রতিবেশী রাজ‍্যগুলো থেকে যে কেউ অনুপ্রবেশ করে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাতে পারে। তাই এন আর সি একান্ত প্রয়োজন। অন‍্যদিকে, রাজ‍্যের বিরোধীরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এন আর সির বিরুদ্ধে ক্রমাগত এককাট্টা হচ্ছে। আপাতত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে এন আর সি নিয়ে, সেদিকেই নজর রাখছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!