NRC আতঙ্কে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে এলাকাছাড়া বিজেপির নেতারা! বাড়ছে জল্পনা পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য September 30, 2019 এনআরসির আতঙ্ক ক্রমশই বেড়ে চলেছে এ রাজ্যে। আতঙ্কে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বলে সূত্রের খবর। অসমে এনআরসি বা নাগরিক পঞ্জিকা তালিকা বেরোনোর পর বিজেপি এরাজ্যে রব তোলে এনআরসি প্রয়োগ করার। অন্যদিকে, আসামে এনআরসি তালিকা থেকে ইতিমধ্যে 19 লক্ষ মানুষের নাম বাদ গেছে। তার মধ্যে 11 লক্ষ হিন্দু আছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক গুজোব রটছে আর সেই গুজবে কান দিয়ে এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছে। ঘটছে একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা। এবার এনআরসি আতঙ্ক থাবা বসানো বাঁকুড়াতে। বাঁকুড়ার অধিবাসী এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দাবি এনআরসি আতঙ্কের ফলেই ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে।এদিন সিমলাপাল থানার পাথর ডোবা গ্রামে আজাদ আলী খান নামের 57 বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে মনে করা হচ্ছে , এনআরসি আতঙ্কে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব সেখানে এলে প্রথমেই প্রবলভাবে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ চলাকালীনই তারা এই এলাকা ছেড়ে চলে যান। 57 বছর বয়সী আজাদ আলীর মৃত্যুকে ঘিরে বিজেপি তৃণমূল তরজা চরমে। বিজেপির প্রতি অভিযোগ, রাজ্যে এনআরসি নিয়ে বিজেপি তাদের পরিকল্পনা জানানোর পর থেকেই আশঙ্কিত জনতা। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে ক্ষমতায় আসলে তারা এক কোটি মানুষকে রাজ্য ছাড়া করবে এনআরসি প্রক্রিয়া চালু করে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন মৃত আজাদ আলীর ভাই মহম্মদ বেলালউদ্দিন খান জানিয়েছেন, তার দাদা কিছুদিন ধরেই এনআরসি আতঙ্কের কারণে জমি সংক্রান্ত নথি নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। এদিন বাড়ি থেকে তিনি বেড়িয়েছিলেন বাঁকুড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু যাওয়ার আগেই তিনি রাস্তায় পড়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে সিমলাপাল এর স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিজেপি যেভাবে রাজ্যে এনআরসি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষ যথেষ্ট আশঙ্কিত এবং তার ফলে ঘটে যাচ্ছে একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা। অন্যদিকে, প্রথম থেকেই বিজেপির দাবি এনআরসি একমাত্র রাস্তা পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ ঠেকানোর। এই অনুপ্রবেশের ফলে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে ঢুকে দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন জায়গায় দুষ্কৃতী মূলক কাজ চালায়। তা বন্ধ করতে এনআরসি ছাড়া আর কোন গতি নেই। তবে এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের জন্য এনআরসি নিয়ে কোনো রকম সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হবার আর্জি জানিয়েছে বিজেপি শিবির। কিন্তু অসমে এনআরসি হবার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে এনআরসির গুজব যেন বেড়েই চলেছে। এই গুজব থামাতে এবার বিজেপি কি পদক্ষেপ নিতে চলেছে সে দিকে তাকিয়ে সবাই। আপনার মতামত জানান -