এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > প্রাক্তন সভাপতিকে মেদিনীপুরে বেধড়ক মারলেন বর্তমান বিজেপি সভাপতির অনুগামীরা!

প্রাক্তন সভাপতিকে মেদিনীপুরে বেধড়ক মারলেন বর্তমান বিজেপি সভাপতির অনুগামীরা!


রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা প্রায়ই প্রকাশ্যে আসে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যা মেটাতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্তমানে দলের অঘোষিত ‘দুনম্বর’ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শীর্ষনেতৃত্ত্ব এর বিরুদ্ধে ক্রমশ কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আর তার মাঝেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তীব্র রেশ এসে পড়ল রাজ্যের শাসকদলকে লড়াই দিতে চলা বিজেপির অন্দরমহলে। ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উদ্দেশ্যে করা ট্যুইট নিয়ে তুলকালাম হয়েছে, রূপাদেবী সেই ট্যুইট ডিলিট করে দিলেও বিতর্কের রেশ কাটেনি, তার মাঝেই সামনে এল বিজেপির বর্তমান সভাপতির অনুগামীদের হাতে প্রাক্তন সভাপতির বেধড়ক মার খাওয়ার ঘটনা।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বাংলা সংস্করণে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মেদিনীপুরে গত প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারতমাতার পূজার আয়োজন করেন জেলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। যা মোটেই মনঃপুত হয়নি বর্তমান জেলা সভাপতি সমিত দাস। এই ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। আর তার শেষ পরিণতি হিসেবে দুদিন আগে মেদিনীপুর স্টেশন রোডে জয়ন্তবাবুর উপর বর্তমান সভাপতির দলবদল হামলা করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জয়ন্তবাবু বলে খবর, এমনকি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতেও হয়। স্বভাবতই এই ঘটনার পর থেকেই উত্তাল মেদিনীপুর শহর। সমগ্র ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমিত দাস ও তাঁর অনুগামীদের দিকে অভিযোগের তীর ছুঁড়েছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীরা। যদিও সমিত দাস নিজে তো বটেই, মেদিনীপুর জেলা বিজেপির তরফ থেকেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। এমনকি এই ঘটনার পিছনে আদতে কারা রয়েছে, তা জানতে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!