এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা এবার শাসকদলের অনুকূলে ২৯৪-০ হতে চলেছে?

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা এবার শাসকদলের অনুকূলে ২৯৪-০ হতে চলেছে?

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একক ভাবে লড়াই করে বাম-কংগ্রেসের মহাজোট ও বিজেপিকে পরাভূত করে পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ২১১ টি আসনে জয়লাভ করে। পরবর্তীকালে দুটি উপনির্বাচনে জয়লাভ করে কংগ্রেসের হাত থেকে আরো দুটি বিধানসভা ছিনিয়ে নিয়ে আপাতত ২১৩ জন বিধায়ক নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় বৃহত্তম শক্তি। কিন্তু এই মাঝের সময়ে আরো অন্তত ১০ জন কংগ্রেস ও ২ জন বাম বিধায়ক নিজেদের দল ছেড়ে ‘বেসরকারিভাবে’ শাসকদলে যোগ দিয়েছেন, অর্থাৎ প্রকাশ্যে শাসকদলের পতাকা হাতে তুলে নিলেও, বিধানসভায় স্পিকারের সামনে শুনানিতে দল ছাড়ার কথা অস্বীকার করেছেন। রাজনৈতিক গুঞ্জন আরও বেশ কিছু বিধায়ক পা বাড়িয়ে আছেন, যেকোনো দিন যোগ দিতে পারেন শাসকদলে।

আর এরমাঝেই পূর্ত দফতরের বাজেটের জবাবি ভাষণ দিতে উঠে শাসকদলের অন্যতম শীর্ষ নেতা তথা রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সেই গুঞ্জন বাড়িয়ে দিলেন আরও কয়েকগুন। তিনি বলেন, রাজ্যে বিরোধী বলে আর কিছু থাকবে না। দেখা হলেই তো সবাই দলে (তৃণমূলে) আসতে চান, সবাইকেই এক দিন আসতে হবে, এ সব সবুজ হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা তথা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, রাজ্যের ‘উন্নয়নের’ স্বার্থেই রাজ্যের ২৯৪ টি আসনে যেটা দরকার। অরূপবাবুর বক্তব্য যে শুধুমাত্র ‘কথার কথা’ নয় সেটা প্রমান করতেই বিধানসভার মধ্যে বিরোধীদের অনৈক্যের ছবিটা আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, রাস্তাঘাটের যে প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। সড়ক বা পরিবহণ পরিকাঠামো অন্য রাজ্যের তুলনায় আমরা এগোতে পেরেছি। আর তাই সব মিলিয়ে, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যেমন একদিন বলেছিলেন, আমরা ২৩৫, ওঁরা ৩০, ওঁদের কথা কেন শুনব? তেমনিই যেন বর্তমান শাসকদল বিধানসভায় ২৯৪ এ ২৯৪ করার লক্ষ্যেই দৌড়াচ্ছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা। বিরোধীনেতারা ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন, পঞ্চায়েত বা পুরসভাগুলি এ ভাবেই তৃণমূল বিরোধীশূন্য করেছে। পূর্তমন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট, এ বার বিধানসভাতেও তাদের নজর পড়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!