চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর-আদালতের রায় বাধা কাটল মাধ্যমিকে শিক্ষক নিয়োগে রাজ্য December 4, 2018 মামলার জট কেটে এবার শুরু হতে চলেছে নবম দশম শ্রেণীর বাংলা শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দোপাধ্যায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার সমস্ত রকম বাধা কাটিয়ে দিলেন।এদিন আদালত সংশোধিত রায় দেন যে এই রায়ে বলা হয় প্রতিবন্ধীদের জন্য তিনটি শূন্যপদ ফাঁকা রেখে বাকি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। রাজ্যে বর্তমানে বাংলা শিক্ষকের শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় ১৩৭৫। সেই পদে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে প্রতিবন্ধী কোটাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল জটিলতা।এই বছরের মার্চ মাসে গত ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার প্রাকমুহুর্তে ওয়েটিং লিস্টে থাকা নৃপেশ মাঝি নামে এক প্রার্থী স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন। তিনি অভিযোগ করেন,বাংলা শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য অন্তত তিনটি পথ সংরক্ষিত থাকার কথা। কিন্তু কমিশন এ বছর তা কমিয়ে মাত্র একটা করেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই চলতি বছরের পয়লা আগস্ট আদালত নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন। যার জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় নবম দশম শ্রেণীর বাংলা শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। অন্যদিকে, কমিশনের পরীক্ষায় সফল ও প্যানেলভুক্ত প্রার্থী স্বর্ণালী চক্রবর্তী ও আরো ১৫ জনের তর ফে তাদের আইনজীবী আশীষ চক্রবর্তী আদালতে জানান,সাধারণ প্রার্থীদের সঙ্গে কমিশনের বা প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের কোনরকম বিরোধ নেই তাহলে প্রতিবন্ধীদের জন্য কেন সাধারন প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে থাকবে?প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত মাত্র এক বা তিনটি আসনের জন্য সহস্রাধিক সাধারন প্রার্থী কেন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন? ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে আইনজীবীর আদালত এদিন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে আগের রায় সংশোধন করে কমিশনকে নিয়োগের নির্দেশ দেন। একদিকে পরিক্ষার পর ফল প্রকাশ দীর্ঘ দিন দেরি অন্যদিকে ফল প্রকাশ হওয়ার পরও মামলার ফলে এইভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া বহুদিন ঝুলে থাকার পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবার কথায় স্বভাবতই খুশির হাওয়া চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। আপনার মতামত জানান -