এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়ার পরামর্শ “বুদ্ধিজীবী বৈঠকে”

দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়ার পরামর্শ “বুদ্ধিজীবী বৈঠকে”

বাংলার সংস্কৃতি এবং সভ্যতার সঙ্গে পরিচিত নন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ – দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ করে আসছেন শাসক দল তৃণমূলের নেতৃত্বরা। আর বাস্তবেও বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে দলের বিড়ম্বনা বাড়িয়েছেন দীলিপবাবু।

এমনকি শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাকে সতর্ক করে দেওয়া হলেও তিনি তার অবস্থান থেকে এতটুকুও নড়েননি। দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছিল তাহলে কি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বদল করা হবে?

কিন্তু কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এমন কোন নির্দেশ দেওয়া না হলেও এবার দলের বুদ্ধিজীবী সেলের বৈঠকে সেই দিলীপ ঘোষের প্রতি প্রবল অনাস্থা প্রকাশ করলেন একাংশ। কলকাতার এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী,গত মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির অফিসে লোকসভা ভোটের রণকৌশল ঠিক করার জন্য বাছাই করা 18 জন বুদ্ধিজীবীকে নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই সকলের সামনে প্রকাশ্যে বিশিষ্ট আইনজীবী তথা বিজেপি সদস্য সুপ্রদীপ রায় দিলীপ ঘোষের শিক্ষাগত যোগ্যতা, মুখের ভাষা সহ একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। আর এইসব কথা শুনেই প্রবল ক্ষুব্ধ হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।

জনৈক ওই সংবাদমাধ্যমের ওই খবর থেকে আরো জানা যাচ্ছে যে,বৈঠকে সেই সুপ্রদীপ রায়কে উদ্দেশ্য করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি সভাপতি আছি এবং থাকব। দলে থাকতে হলে আমার লাইনে চলতে হবে। নচেৎ অন্য পথ দেখাবো।” আর এরপরই সেই বিশিষ্ট আইনজীবী সুপ্রদীপ রায় পাল্টা দিলীপ ঘোষকে বলেন, “আপনি চিরদিন ওই চেয়ারে থাকবেন না। দল মনে করলে একদিন আমাকেও ওই চেয়ারে বসতে পারে।”

আর এই বাকবিতণ্ডার পারদ চরমে উঠলে আগামী 22 শে নভেম্বর দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কাছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর হুমকি দিয়েছেন আইনজীবী সুপ্রদ্বীপ রায়। কিন্তু সত্যিই কি এইভাবে দুই নেতার মধ্যে বিবাদ হয়েছে? আর দিলীপ ঘোষকে কি সত্যিই তিনি আর সভাপতি পদে দেখতে চান না?

ওই সংবাদমাধ্যমের ওই খবর থেকে আরো জানা যাচ্ছে যে, বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে সেই সুপ্রদীপ রায় বলেন, “বিহার, উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে বাংলাকে মেলালে চলবে না। ‘এনকাউনটার করে দেব’, ‘চুলের মুঠি ধরে মারবো’ দীলিপবাবুর এই ধরনের মন্তব্য বাংলার রুচিশীল মানুষ কিছুতেই সমর্থন করেন না।” এদিকে এদিন এই প্রসঙ্গে পাল্টা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাংলায় রাজনীতি করতে হলে আর ভদ্রলোক দিয়ে হবে না। ভাষণ দেওয়া আর মাঠে ময়দানে নেমে রাজনীতি করা এক নয়। যে কোনো রাজনৈতিক দলের সভাপতির লাইনের বাইরে চলা কাম্য নয়। তাই প্রত্যেককে আমার কথামতোই চলতে হবে।”

বিশিষ্ট ওই সংবাদমাধমের ওই খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার ওই বৈঠকে নাকি সুপ্রদ্বীপ রায় দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, “বিজেপির টিকিট ছাড়া ভোটে দাঁড়ালে তিনি একটি ভোটও পাবেন না।” পাল্টা দিলীপ ঘোষ পরবর্তী বিধানসভা ভোটে নিজে মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলেও উল্লেখ করেন। যা শুনে সেই বিশিষ্ট আইনজীবী সুপ্রদ্বীপ রায় কটাক্ষ করেন, “আগে 150 টি আসন তো পান।”

কিন্তু যেখানে আসন্ন লোকসভায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে এবার মূল টার্গেট রাখা হয়েছে এই বাংলাকে, সেখানে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর এইভাবে দলের অন্যান্য নেতারা আস্থা হারালে আদতে তো গেরুয়া শিবিরেরই ক্ষতি!

এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবারের বৈঠকে উপস্থিত থাকা বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্র বসু বলেন, “যে ঘটনা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত। তবে বঙ্গ বিজেপি যে কায়দায় চলছে তাতে শিক্ষিত বাঙালি হিন্দু ভোটারদের কাছে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে না।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রাজনৈতিক মহলের মতে, ক্ষমতায় আসার আগেই যেভাবে রাজ্য বিজেপির নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হয়ে উঠছেন, তাতে কতটা তাদের সেই বঙ্গবিজয়ের লক্ষ্য সাধন হবে তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই সংবাদমাধমে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই সংবাদমাধমে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!