এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্যের প্রশংসা দিলীপের, স্বাগত জানালেন পার্থ!

দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্যের প্রশংসা দিলীপের, স্বাগত জানালেন পার্থ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দুর্যোগের সময় যে রাজনীতি করা উচিত হবে না, তা বুঝতে সক্ষম হয়েছে শাসক থেকে বিরোধী প্রতিটা রাজনৈতিক দল। একদিকে করোনা ভাইরাসের দাপট, আর তার মাঝেই রাজ্যে “ইয়াস” নামক ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে প্রথম থেকেই এই ঘূর্ণিঝড়কে মোকাবিলা করতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু এক বছর আগে আম্ফান নামক ভয়াবহ দুর্যোগ আসার পর যেভাবে সরকারকে চেপে ধরেছিল বিরোধীরা, এবারেও তার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে মনে করেছিলেন একাংশ।

কিন্তু দুর্যোগে রাজ্য সরকারের তৎপরতা দেখে বিরোধী আসনে বসা বিজেপির পক্ষ থেকে বিরোধীতা তো দূরের কথা, উল্টে রাজ্য সরকারের কাজকর্মকে স্বাগত জানানো হল। যা দেখে কিছুটা হলেও হতবাক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এদিন দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের প্রস্তুতি দেখে তাকে সাধুবাদ জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যার পাল্টা দিলীপ ঘোষের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে বলে তার এই মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অর্থাৎ দুর্যোগকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী মতানৈক্যকে পেছনে ফেলে একযোগে কাজ করার বার্তা উঠে এল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বস্তুত, তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই একগুচ্ছ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। একদিকে করোনা, অন্যদিকে সম্প্রতি দুর্যোগ আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস রীতিমত জেরবার করে দেয় রাজ্য প্রশাসনকে। তবে প্রথম থেকেই কঠোর হাতে অতীতের অভিজ্ঞতা নিয়ে এবারের দুর্যোগকে দমন করতে যে রাজ্য সরকার বদ্ধপরিকর, তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপাল বারবার রাজ্য সরকারের নানা ভূমিকার সমালোচনা করলেও, দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্য যে যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য ভূমিকা পালন করছে, তা উঠে এসেছিল জগদীপ ধনকারের কথার মধ্যে দিয়ে। আর এবার বিরোধীদলের জায়গা দখল করা ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পক্ষ থেকেও দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্যের প্রশংসাই শোনা গেল।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগ কারো হাতে নেই। তবে মানুষের দুর্ভোগ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের প্রস্তুতি আছে বলেই মনে হচ্ছে। আগেরবার রাজ্য সরকার হালকাভাবে নিয়েছিল বলে প্রস্তুতি ঠিকমত ছিল না। এবার মনে হচ্ছে, প্রস্তুতি ভালোই আছে।” এদিকে শত বিরোধীতা থাকলেও বিজেপির পক্ষ থেকে এই ধরনের প্রতিক্রিয়া আসায় তাকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “দেরিতে হলেও ওদের যে শুভবুদ্ধি হয়েছে, এটা ভালো কথা। বাকিটা তো কাজে বোঝা যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারেবারেই আহ্বান জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় দলমতের পার্থক্য সরিয়ে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে আমাদের সকলের এখন কর্তব্য, কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাই সকলের কাছে আবেদন, সকলে যেন প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিরোধী দলের ভূমিকা গঠনগত হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে বিরোধী দলে বসা মানেই যে শুধুমাত্র বিরোধিতা করে যাওয়া, এমনটা নয়। অতীতে বারবার সরকারের বিভিন্ন ইস্যুর পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধিতা করতে দেখা গেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। তবে এবার বিরোধী আসনে বসা ভারতীয় জনতা পার্টি দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের প্রশংসা করে কিছুটা গঠনগত বিরোধী দলের পরিচয় দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুধু তাই নয়, পাল্টা সরকারের পক্ষ থেকে যেভাবে বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতির মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে সমন্বয় রেখে কাজ করার আহবান জানানো হল, তাতে দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্যের শাসক-বিরোধী এক হলে দুর্যোগ আটকানো সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন সকলে। প্রকৃতির উপর কারও হাত নেই। কিন্তু সমন্বয় যদি সাধন হয়, তাহলে বাংলার এবারের দুর্যোগ শাসক-বিরোধী সমন্বয়ের নজির হয়ে থাকবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!