এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > জনমত যাই হোক, ক্ষমতা এবং হোয়াইট হাউস ছাড়ছেন না ট্রাম্প, জল্পনা তুঙ্গে!

জনমত যাই হোক, ক্ষমতা এবং হোয়াইট হাউস ছাড়ছেন না ট্রাম্প, জল্পনা তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  অনেক লড়াই করে হোয়াইট হাউসের দরজায় পৌঁছেছেন জো বাইডেন। তবে তাঁকে যে সাদরে আমন্ত্রণ জানাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনই হোয়াইট হাউস ছেড়ে দেবেন, তা যে হচ্ছে না, সেই বিষয়টিই জানা গেছে বিদেশ মন্ত্রকের কথায়। অন্যদিক, আমেরিকার শাসনভার সামলাতে বিডেন-‌হ্যারিসের ট্রানজিশন টিমের প্রাথমিক প্রস্তুতিও ইতিমধ্যেই সারা হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

সেক্ষেত্রে পূর্ব প্রতিশ্রুতি মোতাবেক করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিত্‍সক বিবেক মূর্তির নেতৃত্বে ভাইরাসের মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠনের জন্য তিনি ঘোষণা করেছেন বলেও জানা যায়। অন্যদিকে এর পাশাপাশি, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেও বার্তা দিতে শোনা গেছে হবু ভাইস প্রেসিডেন্ট কোমল হ্যারিসকে। তবে এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প যে কিছুতেই ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি নন, উল্টে হোয়াইট হাউসও ছাড়তে চাননা তিনি, সেই ইঙ্গিত দিলেন বর্তমান মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, “সহজেই দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। আমরা তৈরি। গোটা বিশ্ব দেখছে এখানে কী হচ্ছে। আমরা সব ভোট গণনা করব। যখন গণনা সম্পূর্ণ হবে তখন ইলেক্টোরদের বেছে নেওয়া হবে। এটাই প্রক্রিয়া। এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে আমাদের সংবিধানে বলা আছে। বিশ্ব জেনে রাখুক হস্তান্তর প্রক্রিয়ার মধ্যেও বিদেশ দপ্তর সফলভাবে কাজ করছে এবং করবে। ২০ জানুয়ারি দুপরের ১ মিনিট পরেও যে প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন তাঁর সঙ্গেও সফলভাবে কাজ করবে দপ্তর।”

অন্যদিকে নির্বাচনের পর থেকেই ট্রাম্প ডেমোক্রেটিক প্রার্থীর ওপর নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনেছিলেন। আর এদিন সেই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পম্পেও জানান, “প্রত্যেকটি ‘বৈধ ভোট’ গণনা করা হবে।” তবে বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনে হারলেও মার্কিন আইন মতে ট্রাম্পই ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে যদিও তাঁর ক্ষমতা সীমিত, কিন্তু তবুও তিনি বেশ কিছু বড় পদক্ষেপ করতেই পারেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেমন উদাহরণ হিসেবে সদ্য প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপারকে তাঁর বরখাস্ত করার ঘটনাকে উল্লেখ করেছেন পর্যবেক্ষকরা। এমন পরিস্থিতিতে সামনের মাসের অর্ধেক সময় পর্যন্ত আমেরিকার ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজের নির্বাচন রয়েছে। আর ঠিক ততদিন অবধিই ট্রাম্প এই লড়াইটা টেনে নিয়ে যেতে পারেন বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। এছাড়া, রিপাবলিকান পার্টির ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারপার্সন হিসেবে রনা ম্যাক ড্যানিয়েল সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, “নির্বাচন এখনও শেষ হয়নি। এখনও অনেক বাকি।”

সেক্ষেত্রে নিখুঁত এবং স্বচ্ছ গণনার প্রক্রিয়া যে শুরু হয়ে গেছে সেটাই জানান তিনি। তাঁর কথায়, “আমরা সেইসব মার্কিনির অধিকারের জন্য লড়ছি, যাঁরা রিপাবলিকান পার্টিতে আস্থা রেখেছিলেন।” তবে শুধু এই নির্বাচনই নয়, সেইসঙ্গে আগামী সব নির্বাচনেও যাতে তাঁদের আস্থা বজায় থাকে, তাঁরা সেই উদ্দেশ্যেও পূরণে চেষ্টা করেছেন বলেও জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!