এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কত্ত বড় বীর! তার ভয়ে নাকি পালিয়ে গেছেন রাজ্যপাল! ভাইপোর মিথ্যাচার, তুলোধোনা বিজেপির!

কত্ত বড় বীর! তার ভয়ে নাকি পালিয়ে গেছেন রাজ্যপাল! ভাইপোর মিথ্যাচার, তুলোধোনা বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্য চুলোয় যাক, রাজ্যের মানুষ কাঁদুক, বন্যায় ভাসুক উত্তরবঙ্গ, তার দিকে নজর নেই এই তৃণমূল নেতাদের। তারা কি করে বিরোধীদের ওপর দোষারোপ করা যায়, কি করে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে বেলাগাম আক্রমণ করা যায়, তা নিয়েই সারাদিন অংক করতে ব্যস্ত। বিরোধীদের দাবি, তার অঙ্গ হিসেবেই এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও মিথ্যাচার করতে বাকি রাখলেন না বাংলার যুবরাজ। তিনি নাকি বীরের প্রতীক! সততার প্রতিমূর্তিতে জড়ানো নাকি তার সবকিছু! তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হতে দাঁড়াতে এত ভয় কিসের! কেন বারবার আদালতে গিয়ে রক্ষাকবচ নিতে হয় বাংলার যুবরাজকে? সেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, এদিন তৃণমূলের রাজভবন চলো অভিযান ছিল। আর সেখানেই গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা না করতে পারা নিয়ে ভয়ংকর অভিযোগ করেন তৃণমূলের যুবরাজ। তার দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং তারা যখন দেখা করতে যান, তখন পালিয়ে গিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা না করে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। আর আজকে রাজ্যপাল চলে গিয়েছে। অর্থাৎ অভিষেকবাবু বোঝাতে চাইছেন যে, রাজ্যপাল তাদের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন। সেই কারণে তিনি চলে গেলেন। কিন্তু এতটুকু লজ্জা থাকলে, এতটুকু বিবেক বোধ থাকলে এই ধরনের কথা কি বলতে পারতেন বাংলার যুবরাজ?

একাংশের দাবি, তাদের কাছে রাজনীতিটাই সব হতে পারে। কিন্তু রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের কাছে রাজ্যের মানুষের দুর্গতি আগে প্রাধান্য পায়। উত্তরবঙ্গটা বন্যায় ডুবছে। তৃণমূলের নেতারা তো সবে দিল্লি থেকে ধীরে ধীরে ফিরে আসছেন। এই তো তাদের পরিস্থিতি। রাজধানী থেকে ফিরে এসে তারা আবার রাজ্যপালের দপ্তরের সামনে ধর্না দিতে শুরু করেছেন। তাদের রাজনীতি করা ছাড়া কোনো কাজ নেই। কিন্তু রাজ্যপাল ভয়াবহ উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেখানে গিয়েছেন। আর সেটাই তার দোষ হয়ে গেল! তার জন্য তার বিরুদ্ধে এত মিথ্যাচার করতে হবে তৃণমূলের যুবরাজকে? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে সমালোচক মহল।

বিজেপির দাবি, মিথ্যা বলে মানুষকে ভুল বোঝানো এবার অন্তত বন্ধ করুক তৃণমূল। সাধারণ মানুষকে ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই। তারা আবার আন্দোলনের নামে নাটক করছে। কেন্দ্রীয় সরকার তো বলে দিয়েছে, হিসাব দিন, তাহলেই টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। তাহলে সেই হিসাব দিতে কেন এত লুকোছাপা করছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতারা? আর যিনি বলছেন, রাজ্যপাল পালিয়ে গিয়েছেন, তিনি কত বড় বীর, তা তো রাজ্যের মানুষ দেখেছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হতে তাকে বারবার রক্ষাকবচ নিতে হয়। এই তো তার পরিস্থিতি। তাই রাজ্যের মানুষের বিপদে যখন রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন, তখন এত বড় মিথ্যাচার যুবরাজের মুখ থেকে মানায় না বলেই কটাক্ষ পদ্ম শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল বুঝে গিয়েছে, তারা কোনোভাবেই কেন্দ্রের কাছ থেকেই একশো দিনের কাজের টাকা পাবে না। আর যাই হোক, রাজ্যপালও এই বিষয়কে আস্কারা দেবেন না, এটা তৃণমূলের কাছে স্পষ্ট। যার কারণে তারা এখন রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও নানা মিথ্যাচার করার পথ অবলম্বন করছেন। যারা দুর্নীতি করে, যারা হিসাব দিতে পারে না, তাদের নেতার মুখ থেকে এত বড় বড় গর্জন-তর্জন অন্তত মানায় না। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!