এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মন্ত্রীর বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি শেষ, চরম পদক্ষেপের পথে ইডি? মমতার বিড়ম্বনা বাড়ালো বিজেপি!

মন্ত্রীর বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি শেষ, চরম পদক্ষেপের পথে ইডি? মমতার বিড়ম্বনা বাড়ালো বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গোটা রাজ্যবাসীর নজর ছিল মধ্যমগ্রামের দিকে। কারণ, ভোররাতে সেখানে রাজ্যের বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাসভবনে পৌঁছে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। যখনই সাধারণ মানুষ খবর দেখছিলেন, তখনই একটাই খবর সামনে আসছিল যে, না, এখনও তল্লাশি শেষ হয়নি। পৌর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখনও মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েই যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। যার ফলে একাংশ ধরেই নিয়েছিলেন যে, এবার হয়তো উইকেট পড়তে চলেছে। কিন্তু সেরকম কিছু হলো না। দীর্ঘ তল্লাশির পর নথিপত্র নিয়ে রাত দেড়টার সময় মধ্যমগ্রাম পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং বর্তমান খাদ্যমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বেরিয়ে এলেন ইডি আধিকারিকরা। এখন সকলের একটাই প্রশ্ন, এত তল্লাশি তো হল। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ হবে কি?

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোররাত থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই তল্লাশি এবং নথিপত্র উদ্ধার কিন্তু এমনি এমনি নয়। যদি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এতটা সহজ ভাবে কেউ নেন, তাহলে তিনি ভুল করবেন। ইতিমধ্যেই আদালতে একাধিক বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে এই ইডি। তাদের ঢিলেঢালা তদন্ত নিয়ে বারবার উস্মা প্রকাশ করেছেন বিচারপতিরা। ফলে পৌর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম কোনো মন্ত্রীর বাড়িতে ইডির তল্লাশি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। হয়ত আজকেই তেমন কোনো সুখবর পাননি রাজ্যের মানুষ কিন্তু ভবিষ্যতে যে পাবেন না এবং খুব দ্রুত যে সেই সুখবর আসবে না, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিরোধীরা।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূলকে বিড়ম্বনায় ফেলতে শুরু করেছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে গেরুয়া শিবিরের একাংশ বলছেন, ঘন্টার পর ঘন্টা জেরা এবং এই তল্লাশিতে কেমন লাগে এবার বুঝুন! তাদের আরও দাবি, আইনের জালে যদি কেউ দোষী হয়, তাহলে কোনোমতেই রেহাই পাবে না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই লাগাতার তল্লাশি প্রমাণ করছে যে, মধ্যমগ্রাম পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রীর কাছে বেশ কিছু তথ্য রয়েছে। যদিও বা কি তথ্য রয়েছে, তা তারাই বলবে। কিন্তু স্বস্তি পাওয়ার কোনো কারণ নেই। ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদ আসবে দুর্নীতিকারীদের জন্য। আর তাতে শাসকদলের অনেক রাঘববোয়াল ধরা পড়বেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে লাগাতার তল্লাশিতে রাজ্যের মানুষ একটা আশা করতে শুরু করেছিলেন। অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন যে, এবার একটা বড় পদক্ষেপ হবে। কিন্তু সেরকম কিছু হলো না। তবে তথ্য, নথি না নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কোনো কাজ করে না। তাই তারা মধ্যমগ্রাম পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে যে বিপুল তথ্য নিয়ে গেলেন, তার জন্য আগামী দিনে তৃণমূলকে বড় বিপদে পড়তে হবে না তো? দিনের শেষে তেমনটাই প্রশ্ন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!