এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুভেন্দু ফ্যাক্টর! অভিষেকের মঞ্চ থেকেই মেনে নিলেন কল্যান? অট্টহাসি বিরোধীদের!

শুভেন্দু ফ্যাক্টর! অভিষেকের মঞ্চ থেকেই মেনে নিলেন কল্যান? অট্টহাসি বিরোধীদের!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূলের নেতাদের মুখে কার্যত লাগাম নেই। নিজেদের আসনকে পাকাপোক্ত রাখতে তারা যখন যা ইচ্ছে যাকে খুশি অপমান করে যান। এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং রাজ্যপালকে নিয়ে কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা বললেন, তাতে সরব হচ্ছে বিরোধীরা। পাশাপাশি তারা এটাও বলছেন যে, এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গেল যে, শুভেন্দু অধিকারী ফ্যাক্টর, এটা মানতে শুরু করেছেন তৃণমূলের নেতারা। আর আগামীদিনে এই শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই যে রাজ্যে পরিবর্তন আসতে পারে, তা হয়তো উপলব্ধি করছেন রাজনীতিতে চুল পাকানো শাসকদলের একাধিক হেভিওয়েট।

তাই কল্যাণবাবু কটাক্ষ করে একটি মন্তব্য করলেও, তার বক্তব্য নিয়ে তুমুল গতিতে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। গতকাল তৃণমূলের রাজভবন চলো অভিযানের দিন রাজ্যপাল রাজভবনে ছিলেন না। তিনি উত্তরবঙ্গের মানুষের পাশে দাঁড়াতে সেখানে গিয়েছেন। আর সেটাই তৃণমূল নেতাদের কাছে গাত্রদাহের কারণ। সকলে একটাই কথা বলছেন, রাজ্যপাল ভয়ে রাজভবন থেকে পালিয়ে গিয়েছে। যদিও সেই কথাকে রাজ্যের মানুষ কতটা গ্রহণ করবে, তা তো সময় বলবে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একটি মন্তব্য করলেন, যার ফলে বিরোধীরা সোচ্চার যেমন হচ্ছে, তেমন তারা খুশিও।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজভবন চলো অভিযানে বক্তব্য রাখার সময় একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এই রাজ্যপালের কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু এ তো শুভেন্দু অধিকারীর কথায় চলে। এ শুভেন্দু অধিকারীর দালাল। কারণ শুভেন্দু না বললে এর চাকরিটা থাকবে না।” আর এই বক্তব্য নিয়েই এখন আলোচনা শুরু করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, তাহলে শুভেন্দু অধিকারীকে অস্বীকার করতে পারছেন না তৃণমূল নেতারা। আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে যে শুভেন্দু অধিকারীর কদর যে অত্যন্ত বেশি, তাও কল্যাণবাবু হয়ত এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্বীকার করে নিলেন।

বিজেপির দাবি, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত বরিষ্ঠ রাজনীতিবীদ। তিনি জানেন, বিরোধী রাজনীতি করতে গেলে কেন্দ্রের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকতে হয়। কারণ এই কেন্দ্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল বলেই এবং রাজ্যে আন্দোলন করেছিলেন বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকে মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী আন্দোলন করতে গেলে পেছন থেকে একটা সাপোর্ট দরকার। যা কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব শুভেন্দু অধিকারীকে দিচ্ছেন। দিন দিন রাজ্যের বুকে যে আন্দোলন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে তুলছেন শুভেন্দুবাবু, তা নজর রাখার মত। আর এই পরিস্থিতিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যি কথাটাই বলে দিয়েছেন। রাজ্যপাল কারও কথায় চলেন না, এটা যেমন ঠিক, ঠিক তেমনই এটাও ঠিক, রাজ্যে বিরোধী আন্দোলন তৈরি করতে শুভেন্দু অধিকারীর মাথার পেছনে বড় হেভিওয়েটের হাত রয়েছে। আর সেই হাত থাকার কারণেই আগামী দিন আরও চাপে পড়তে পারেন বড় বড় গলা করা তৃনমূল নেতারা বলেই দাবি সমালোচক মহলের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। আর তাকে এভাবে আক্রমণ করা যে যায় না, তা তৃণমূল নেতাদের মাথায় ঢুকিয়ে লাভ নেই। কারণ তারা যেভাবেই হোক, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মিলিয়ে এই রাজ্যপালকে আক্রমণ করতে ব্যস্ত থাকবেন। এটা তারা আগেও করেছেন। আর এবার কল্যাণবাবুও তা করে দেখালেন। কিন্তু কটাক্ষ করেই হোক আর যেভাবেই হোক, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো নিজেও বুঝলেন না, তিনি কি বলে ফেললেন! তার কথার মধ্যে দিয়ে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গেল যে, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের কাছে এখন অত্যন্ত বড় মাপের চাপের কারণ। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!