এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ঘেরাওয়ের ফল মারাত্মক, ভাইপোকে সতর্ক করলেন রাজ্যপাল? পথে আসুন যুবরাজ, পরামর্শ বিরোধীদের!

ঘেরাওয়ের ফল মারাত্মক, ভাইপোকে সতর্ক করলেন রাজ্যপাল? পথে আসুন যুবরাজ, পরামর্শ বিরোধীদের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে ধর্না, আন্দোলন করার পর সেখান থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, রাজভবন চলো অভিযান করবেন তিনি। সেই মতো গতকাল সেই অভিযান করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, রাজ্যপাল রাজভবনে ছিলেন না জন্য অভিষেকবাবু এটাও জানিয়ে দিয়েছেন যে, যতক্ষণ না রাজ্যপাল দেখা করবেন, ততক্ষণ নাকি তিনি এই ধর্না মঞ্চেই থাকবেন। তবে প্রথম থেকেই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দপ্তরের সামনে এই ধরনের আন্দোলন নিয়ে এবং তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ। তারা বলেছেন, সত্যিই কি শাসক দলের ক্ষমতায় থেকে এই ধরনের কাজ করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস?

কোথায় তারা রাজ্যপালকে নিরাপত্তা দেবেন, কিন্তু তা না করে রাজ্যপালের ওপর এই ধরনের চাপ সৃষ্টির কৌশল নিয়ে কি বার্তা দিচ্ছেন তৃণমূলের যুবরাজ? কিন্তু তারা যা খুশি তা করলেই যে রাজ্যপাল তা মেনে নেবেন না, তা এবার স্পষ্ট হয়ে গেল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বড় বড় গলায় দাবি করলেন, তিনি সারা রাত ধর্না মঞ্চে থাকবেন। আর তার মাঝেই রাজ্যপালের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতেই বোঝা গেল যে, এই ধরনের ঘেরা আন্দোলন ভালো চোখে দেখছেন না রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের যুবরাজ যখন সারা রাত ধর্না মঞ্চে থাকার কথা বলছেন, তখনই বিবৃতি এলো রাজভবনের পক্ষ থেকে। রাজ্যপাল স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, “ঘেরাও নয় ঘর আও।” অর্থাৎ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট যে, তৃণমূলের যুবরাজকে তিনি বোঝাতে চাইলেন, ঘেরাওয়ের আন্দোলনে তিনি বিশ্বাস করেন না। আর তৃণমূল যে আন্দোলন করছে, তাতে যে তিনি মোটেই খুশি নন, তাও এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। অনেকে আবার বলছেন, যুবরাজকে এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে ইঙ্গিতবাহী ভাবে সতর্ক করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তারপরেও যদি তিনি সতর্ক না হন, যদি তিনি এভাবেই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের ভবনের সামনে ধর্না দিতে থাকেন, তাহলে তার ফল মারাত্মক হতে পারে। প্রশাসনিক দিক থেকেও চাপে পড়ে যেতে পারে তৃণমূল সরকার বলেই দাবি সমালোচকদের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে বিরোধীরাও শাসকদলকে পরামর্শ দিতে শুরু করেছে। তাদের বক্তব্য, রাজ্যের সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করতেই পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবিদাওয়া থাকতেই পারে। কিন্তু তার একটা সিস্টেম থাকবে। এইভাবে সাংবিধানিক প্রধানের দপ্তরের সামনে শাসক দলের পক্ষ থেকে এই ধরনের বিক্ষোভ এবং তাদের যুবরাজের এই ধরনের নাটক কার্যত দৃষ্টিকটু। এটা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেবে। আখেরে ক্ষতি হবে তৃণমূলেরই। তাই এই ধরনের আন্দোলনের রাস্তা বেছে না নিয়ে রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দিয়ে আসল বিষয়টি বোঝা উচিত বাংলার যুবরাজের বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের। এত কিছুর পরেও, তৃণমূলের পক্ষ থেকে এত আক্রমণ আসার পরেও, তিনি পাল্টা আক্রমণ করছেন না। কার্যত হাসিমুখেই তার জবাব দিচ্ছেন। তবে এবার তিনি তৃণমূলের এই ধর্নার বিরুদ্ধে তাদের যেভাবে ঘরে আসার বার্তা দিলেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এরপরেও যদি তৃণমূল ইগো নিয়েই এই অবস্থান চালিয়ে যায়, তাহলে রাজ্যপাল কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেন। আর তখন তৃণমূলের নেতারা বড় বড় প্রশ্ন তুলেও কোনো লাভ হবে না। তাই সময় থাকতেই আন্দোলনের নামে এই নাটক না করে রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দেওয়া উচিত আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় নেতার। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!