এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ইডির নোটিশে নির্ভয় অভিষেক! জেরায় যাওয়ার মুরোদ আছে তো? বিজেপির প্রশ্নে জেরবার তৃণমূল!

ইডির নোটিশে নির্ভয় অভিষেক! জেরায় যাওয়ার মুরোদ আছে তো? বিজেপির প্রশ্নে জেরবার তৃণমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তিনি নাকি এক পয়সা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। তার বিরুদ্ধে তদন্ত নাকি করতে হবে না, যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে তাকে ফাঁসির কাঠে ঝুলিয়ে দিলেই হবে। এরকম অনেক বড় বড় কথা বাংলার যুবরাজ এতদিন বলেছেন। রাজভবন চলো অভিযানের কর্মসূচিতে দাঁড়িয়েও তিনি বোঝাতে চাইলে যে, বিজেপি সরকার কেন্দ্রীয় সরকার তার প্রতি প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ করছে। তাকে নোটিশ দিয়ে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। শুধু তাকে নয়, তার পরিবারকেও ডেকে পাঠানো হচ্ছে। তবে এসবের কাছে তিনি ভীত, সন্ত্রস্ত নন বলেও বুঝিয়ে দিলেন অভিষেকবাবু। আর তার এই মন্তব্য নিয়েই এবার প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে বিরোধীরা। তাদের পাল্টা বক্তব্য, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডাকলে যেতে এত ভয় কেন? এবার তাদের সামনাসামনি হওয়ার মুরোদ রয়েছে তো বাংলার যুবরাজের?

প্রসঙ্গত, এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবন কর্মসূচিতে অনেক বড় বড় গলায় বক্তব্য রেখেছেন। তার দাবি, তাকে, তার স্ত্রীকে, তার বাবা-মাকে নোটিশ পাঠাচ্ছে। কিন্তু বিজেপি নেতারা কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছে! অর্থাৎ এক কথায় আবার সেই প্রতিহিংসার অভিযোগ করেছেন বাংলার যুবরাজ। অন্যদিকে এদিনই আদালতের পক্ষ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়ে একটি বড় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত জানিয়ে দিয়েছে যে, যে করেই হোক, তথ্য জমা দিতে হবে অভিষেক বাবুকে। তিনি এই ব্যাপারে কোনো মাপসি চাইলেও আদালত তা দেবে না, এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে সেই জায়গায় দাড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এত বড় বড় কথা বলছেন প্রকাশ্য জনসভায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যদি কড়া পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তিনি তাদের মুখোমুখি হবেন তো? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

ইতিমধ্যেই বাংলার যুবরাজকে নিয়ে তৃণমূলকে প্রশ্নবানে বিদ্ধ করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির দাবি, এতই যখন সততার প্রতীক, তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডাকলেই কেন বলেন, আমার এই রাজনৈতিক কর্মসূচি আছে, ওই কর্মসূচি আছে, আমি যেতে পারব না। কিন্তু তিনি তো এক পয়সাও দুর্নীতি করেননি। তাহলে তার এত ভয় কেন? মানুষ তো জানতে চাইছে যে, তিনি মাথা উঁচু করে যান, আর মাথা উঁচু করে বেরিয়ে আসুন। কিন্তু রক্ষাকবচ নিয়ে জেরার মুখোমুখি হওয়াটা কি বীরত্বের প্রতীক? এতই যখন মুরোদ রয়েছে, তাহলে তদন্তে সহযোগিতা করে বেকারদের চোখের জল মুছিয়ে ইডির ডাকে সাড়া দিন। তা না হলে বাংলার মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে, শুধু মঞ্চেই বড় বড় ভাষণ। কিন্তু ভেতরে ভেতরে ভয় কাঁপছেন যুবরাজ বলেই দাবি পদ্ম শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বুঝতে পেরেছেন যে, ইডি হাত খুলে খেলতে শুরু করেছে। আর এর ফলে শুধু তার নয়, তার পরিবারেরও ক্রমশ চাপ বাড়ছে। যেভাবে তদন্ত প্রক্রিয়াকে আদালতের চাপে গুটিয়ে আনার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তাতে এই ডাকাডাকির প্রবণতা আরও বাড়তে পারে। তাই এখন প্রতিহিংসার কথা বলে নিজের বীরত্বের নজির স্থাপন করতে চাইছেন বাংলার যুবরাজ। কিন্তু তিনি যে বীর, তা তখনই প্রমাণ হবে, যখন তিনি রক্ষাকবচ না নিয়ে ইডির মুখোমুখি জেরা সম্পন্ন করে মাথা উঁচু করে আবার বাইরে বেরিয়ে আসবেন। চ্যালেঞ্জ করে তেমনটাই বলছে বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহল। তবে বিরোধীদের করা এই চ্যালেঞ্জের জবাবে কি বলেন বাংলার যুবরাজ, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!