এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার তথ্য তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীর “মিথ্যার ফুলঝুড়ি” সামনে নিয়ে এলেন দিলীপ ঘোষ!

এবার তথ্য তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীর “মিথ্যার ফুলঝুড়ি” সামনে নিয়ে এলেন দিলীপ ঘোষ!


করোনা মোকাবিলা থেকে শুরু করে ভয়াবহ দুর্যোগ আমপান মোকাবিলা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কেন্দ্রীয় অর্থ রাজ্য ঠিকমত খরচ করছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দুর্যোগে কোথায়, কত অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে তার তথ্য দিচ্ছেন, ঠিক তখনই তাকে মিথ্যে বলে দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সূত্রের খবর, এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে গৃহনির্মাণের জন্য সরাসরি কুড়ি হাজার টাকা দেবে রাজ্য সরকার। এছাড়াও 100 দিনের কাজের মাধ্যমে মজুরি বাবদ 28 হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে।” শুধু তাই নয়, গ্রামের সড়ক মেরামত থেকে শুরু করে নলকূপ বসানো, বিভিন্ন খাতে মোট 6 হাজার 250 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও জানিয়ে দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নবান্নে এই ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করছেন, ঠিক তখনই তার সেই বক্তব্যকে রীতিমত খন্ডন করে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ করলেন তিনি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখে যা বলছেন, আর কাজে যা হচ্ছে, তার মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। উনি মিথ্যার ফুলঝুরি ফোটাচ্ছেন। এর টাকা ওর ঘাড়ে চাপিয়ে সবাইকে বোকা বানাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।”

আর এরপরই একের পর এক তথ্য তুলে ধরেন দীলিপবাবু। যেখানে তিনি বলেন, “100 দিনের প্রকল্প খাত থেকে যে 14 কোটি টাকা খরচের কথা বলা হয়েছে, তা রাজ্যের প্যাকেজ হতে পারে না। ওটা কেন্দ্রের প্রকল্প। বারো আনা টাকাই কেন্দ্রের দেওয়া। কৃষক বন্ধু প্রকল্প বা জয়বাংলা প্রকল্প চলছে তো চলছে‌। তাহলে তা উমপুনের প্যাকেজ হবে কি করে? কৃষি বন্ধু প্রকল্প খাতে উত্তরবঙ্গের কৃষকরাও টাকা পাওয়ার কথা। কৃষকদের PM-Kisan প্রকল্প বাবদ বছরে 6 হাজার টাকা থেকে বঞ্চিত করে একর প্রতি আড়াই হাজার টাকা বছরে দেয় রাজ্য।”

তিনি আরও বলেন, “কিন্তু উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গের অনেক জেলাতেই তো এই ঝড়ের কোনো প্রভাব পড়েনি।” অর্থাৎ দিলীপবাবু এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে তুলে ধরে বোঝাতে চাইলেন যে, তিনি যেটাকে রাজ্যের টাকা বলে দাবি করছেন, সেটা আসলে কেন্দ্রের দেওয়া আর্থিক সাহায্য। আর তা দিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে সহযোগিতা করছেন। ফলে গোটা ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় “মিথ্যাচার করছেন” বলে শোরগোল তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!