এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বাংলার ভুমিপুত্র- জানিয়ে গেলেন অমিত শাহ, কে সেই ভুমিপুত্র?

মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বাংলার ভুমিপুত্র- জানিয়ে গেলেন অমিত শাহ, কে সেই ভুমিপুত্র?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দলবদলের হাত ধরে তৃণমূল থেকে হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারী বিগত বছরের শেষে যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। যথারীতি তাঁর হাত ধরে তৃণমূলের এক ঝাঁক নেতা-মন্ত্রী, বিধায়ক একে একে চলে গেছেন বিজেপিতে। একইসাথে তৃণমূল শিবিরের বিশাল ভাঙ্গন ক্রমশ প্রকাশ্য এসেছে। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে গিয়েও যেভাবে দাপিয়ে রাজনীতি করছেন, তাতে সেখানেও যে সম্মান আদায় করে নিয়েছেন তিনি তা বলার বাকি রাখেনা। স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলে যে মনে করেন তা বুঝিয়ে দিলেন গতকাল।

বৃহস্পতিবার অমিত শাহের রাজ্যের একাধিক কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এবং প্রতিটিতেই শুভেন্দু অধিকারীর নাম তিনি করেছেন। বৃহস্পতিবার কোচবিহার থেকে ঠাকুরনগরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মতুয়াদের জন্য বক্তব্য রাখেন। একই মঞ্চ থেকে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর ভূয়শী প্রশংসাও করেন। এখানেই শেষ নয়, ঠাকুরনগর থেকে কলকাতার সায়েন্স সিটিতে যাত্রাপথে অমিত শাহ তাঁর কপ্টারের সঙ্গী করে নেন শুভেন্দু অধিকারীকে। কিন্তু কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষের মতো নেতারা কিন্তু সড়ক পথেই কলকাতায় আসলেন সায়েন্স সিটির অনুষ্ঠানে। যথারীতি এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।

সায়েন্স সিটির অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, শিবপ্রকাশ, সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। সবার নাম নিয়েই অমিত শাহ প্রশংসা করেন। কিন্তু এরপরে নাম নেন শুভেন্দু অধিকারীর এবং তিনি বলেন, শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই রাজ্য জয়ের আশা আরো নিশ্চিত হয়েছে। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীও দুঁদে রাজনীতিবিদ। দীর্ঘদিন নীচুতলা থেকে রাজনীতি করে তিনি উঠে এসেছেন এই জায়গায়। সেক্ষেত্রে তাঁর সেই অভিজ্ঞতার হাত ধরেই তিনি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে চলেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মেদিনীপুরের সভা থেকে তিনি যেমন দিলীপ ঘোষকে অন্যতম কাণ্ডারী করে তুলে ধরেন, ঠিক সেরকমই তৃণমূলকে হারাতে গেরুয়া শিবিরে কোন পদের প্রয়োজন নেই বলে বারবার উল্লেখ করেন। শুভেন্দু অধিকারীকে যে গেরুয়া শিবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলে মনে করেন, তা শুভেন্দু অধিকারীর দলে যোগ দেওয়ার পরেই পরিষ্কার হয়ে গেছে। 2020 র ডিসেম্বরে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর এ বছরের শুরুতেই তাঁকে জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়া নিয়ে অমিত শাহকে প্রশ্ন করলে তিনি কিন্তু জানিয়ে দেন বাংলার ভূমিপুত্রকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে।

এক্ষেত্রে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, অমিত শাহ কিন্তু ইঙ্গিত করলেন বাংলার ভূমিপুত্র হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীকেই। এতদিন পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরে কাজ করলেও কোনদিন বাংলার ভূমিপুত্র হিসেবে পরিচিতি পাননি মুকুল রায় কিংবা দিলীপ ঘোষ। সব মিলিয়ে বঙ্গ বিজেপি শিবিরের মুখ্য স্পটলাইট কিন্তু কেড়ে নিচ্ছে ক্রমশ শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের চোখের মণি হয়ে উঠেছেন যে তিনি তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। সেক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা চললেও সামনাসামনি কিন্তু প্রত্যেকেই রাজ্য জয়কেই মুখ্য করে সমস্ত আলোচনাকে দূরে সরিয়ে রাখছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!