এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > সামনে এল ৪৩ পাতার বিস্ফোরক রিপোর্ট! জুলাইতেই করোনা সংক্রমণে আমেরিকাকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত?

সামনে এল ৪৩ পাতার বিস্ফোরক রিপোর্ট! জুলাইতেই করোনা সংক্রমণে আমেরিকাকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত?


ভারতবর্ষে করোনা তার করাল থাবা বসিয়েছে চলতি বছরের শুরুর দিকে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে। জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখে ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছিল মাত্র একজন। গত মঙ্গলবার ২৬ শে মে সকাল পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে জানা গেছে বর্তমানে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৮০ তে। এমনকি জুলাইতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখেরও বেশি হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন মার্কিন প্রবাসী ভারতীয় অধ্যাপক ডঃ ভ্রমর মুখোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর এদিন ডঃ ভ্রমর মুখোপাধ্যায় ভারতের করোনা ভাইরাস আক্রান্ত, করোনা ভাইরাসের থাবায় মৃত এবং দেশের লকডাউন পরিস্থিতি ইত্যাদি সম্পর্কিত একটি প্রায় ৪৩ পাতার রিপোর্ট প্রকাশ করেন। প্রাপ্ত সূত্রের তথ্য অনুযায়ী গত সোমবার ভারত বিশ্বের করোনা আক্রান্ত দেশগুলির মধ্যে দশম স্থানে পৌঁছায়। এমনকি জানা গেছে গত এক সপ্তাহের মধ্যে করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই গেছে। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সুস্থ হওয়ার পরিসংখ্যানের দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা গেছে গত সোমবার করোনা আক্রান্তের নিরিখে ভারত এই নিয়ে চতুর্থবার নিজেই নিজের রেকর্ড ভেঙেছে। এমনকি শুধুমাত্র গত সোমবারেই ভারতে নতুন করে করো না আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯৭৭ জন। যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে এখনো পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ৬০,৪৯০ জন। জানা গেছে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সক্রিয় ঘটনা মোট ৮০,৭২২ জন। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪,১৬৭ জন। শুধুমাত্র মঙ্গলবারই করোনায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৪৬ জনের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রামিত হয়েছেন ৬,৫৩৫ জন দেশবাসী যা পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গেছে একদিনে সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্তের কিছুটা কম। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে কেবলমাত্র মে মাসেই আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান তথ্য অনুযায়ী ২০ শে মে দেশে করণা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫,৬১১ জন। ২১ শে মে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৫,৬০৯ জন। কিন্তু ফের ২২ শে মে পরিসংখ্যানটি বেড়ে দাঁড়ায় ৬,০৮৮ জনে।

এরপর থেকে ক্রমাগত এই পরিসংখ্যান ঊর্ধ্বমুখী হয়। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। ২৩,২৪ এবং ২৫ শে মে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা হয় যথাক্রমে ৬,৬৫৪ জন, ৬,৭৬৭ জন এবং ৬৯৭৭ জন। দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৩৮০ জন। প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে ৩০ শে জানুয়ারি থেকে ২৫ শে মে পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান ব্যাপক হারে ঊর্ধ্বমুখী।

জানা গেছে ৩০ শে জানুয়ারি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র একজন।‌ এরপর ২৮শে ফেব্রুয়ারি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল মোট তিনজন। ৩০ শে মার্চ এই পরিসংখ্যানটি একেবারে লাফিয়ে পৌঁছায় ১০৭১ জনে। এরপর থেকেই ক্রমাগত প্রতিদিন আক্রান্ত হয়েছেন দেশের বহু মানুষ। গত ৩০ শে এপ্রিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৩৩,০৫০ জনে। ৩০ শে জানুয়ারি থেকে ২৫ শে মে পর্যন্ত এই পরিসংখ্যান বাড়তে বাড়তে গিয়ে পৌঁছায় ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮৪৫ জনে।

এরপর ২৫ শে মে থেকে ২৬ শে মে এর মধ্যে অর্থাৎ এই ২৪ ঘন্টার মধ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হয় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৮০ জন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পরিসংখ্যানের যে ঊর্ধ্বমুখী লেখচিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে তা বিশেষজ্ঞ মহলে বেশ চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। এরইমধ্যে এদিন প্রবাসী ভারতীয় অধ্যাপক ভ্রমর মুখোপাধ্যায়ের ওই ৪৩ পাতার রিপোর্টটি প্রকাশিত হতে জানাগেছে জুলাইতে ভারতে করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান ৫ লাখেরও বেশি ছাড়িয়ে যেতে পারে। কার্যত বিষয়টি যথেষ্ট আশঙ্কাজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!