এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে কতটা শক্তিশালী এই মুহুর্তে মায়াবতীর দল? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে কতটা শক্তিশালী এই মুহুর্তে মায়াবতীর দল? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যেসব মহিলা রাজনীতিবিদদের খোঁজ পাওয়া যায়, তার মধ্যে অন্যতম হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার বুকে তিনি বিজেপি নেতৃত্বকে রীতিমত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছেন। অন্য আরেকজন উল্লেখযোগ্য মহিলা রাজনীতিবিদের নাম হল মায়াবতী। এই মায়াবতী ভারতীয় রাজনীতিতে বহেনজী বলেই পরিচিত। মোদি বিরোধী শক্তির মধ্যে তাঁকেও ফেলা যায়। প্রথম থেকেই মায়াবতী বিজেপি বিরোধী জোটে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর মতনই, তীব্র বিজেপি বিরোধিতা করে এসেছেন।

কিন্তু 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে যখন এ রাজ্যে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাঁধে ভর দিয়ে এককভাবে তৃণমূল ক্ষমতায় আসে, ঠিক তখনই উত্তরপ্রদেশে সম্পূর্ণ অন্য ছবি। বিশেষজ্ঞদের মতে, মায়াবতী শিবির এই মুহূর্তে ক্রমশ কোণঠাসা। কারণ কিছুদিন আগেই হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত ভোটে দেখা গেছে মায়াবতীর দল অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। অন্যদিকে বর্তমানে একের পর এক ঘটনায় ভারতীয় রাজনীতিতে কিন্তু মোদি বিরোধী মুখ হিসেবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উঠে আসছে। এমনকি আগামীদিনের বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু একসময়ের শক্তিশালী মায়াবতী কিভাবে পিছিয়ে পড়লেন? যেখানে দেখা যাচ্ছে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের অন্যান্য মোদি বিরোধী দলগুলি একে একে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। ঠিক সে জায়গায় আর কিছুদিন পরেই উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মায়াবতী নিজেই জানিয়ে দিলেন, তিনি একলা চলো নীতিতে বিশ্বাসী। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, বহু সময় জোট করে  লড়াই করার পর দেখা গেছে তাঁর দল বিএসপিকে ব্যবহার করছেন অন্যান্য জোট শরিকরা। কিন্তু বিএসপি অন্যদলের থেকে কোনো সুবিধা পাচ্ছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একই সাথে এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে সব থেকে বড় খবর- মায়াবতীর দল বিএসপি থেকে তাঁদের দুই হেভিওয়েট নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বিএসপি’র দুই নেতা লালজী বর্মা এবং রামাচল রাজভরকে করা হয়েছে বহিষ্কার। মায়াবতী যখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, সেসময় এই দুই বহিস্কৃত নেতা তাঁর মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন। এই মুহূর্তে 2024 সালের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। তার আগেই একের পর এক বিধানসভা নির্বাচন হয়ে চলেছে। এতদিন পর্যন্ত বাংলার নির্বাচনের দিকে  চোখ ছিল জাতীয় রাজনীতির। বাংলায় বিজেপির হারের পর এবার নজর উত্তরপ্রদেশের দিকে।

আর কিছুদিনের মধ্যেই 2022 সালে উত্তরপ্রদেশের শুরু হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে এককালের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর রয়েছে এই মুহূর্তে 8 জন বিধায়ক। পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু ক্রমশ নিজের শক্তি বাড়িয়ে চলেছেন। দুই মহিলা রাজনীতিবিদদের মধ্যে এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন। আপাতত উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে মায়াবতী কোন ম্যাজিক দেখাতে পারেন কিনা সেদিকে নজর এখন রাজনৈতিক মহলের। তবে উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টি এই মুহূর্তে অন্যতম বিরোধী শক্তি। তাই সমাজবাদী পার্টি এবং গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করতে মায়াবতীকে যথেষ্ট শক্তি সঞ্চয় করতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!