এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কৃষকদের ক্ষোভের কারণে গ্রামে প্রবেশ নিষিদ্ধ বিজেপি ও তাঁর জোটসঙ্গীর

কৃষকদের ক্ষোভের কারণে গ্রামে প্রবেশ নিষিদ্ধ বিজেপি ও তাঁর জোটসঙ্গীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দিল্লির রাজপথে হওয়া কৃষি আন্দোলন ইতিমধ্যেই চাপের মুখে ফেলেছে বিজেপি সরকারকে। দীর্ঘদিন ধরে চলা কৃষক আন্দোলনকে এখনো পর্যন্ত সামাল দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষোভ প্রকাশ আরো অস্বস্তিতে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের প্রতি কৃষকদের ক্ষোভ যেন দিন দিন বেড়ে চলেছে। মনে করা হচ্ছিল, সুপ্রিমকোর্টের হস্তক্ষেপে কৃষকদের বিক্ষোভ কিছুটা কমবে। কিন্তু না, বরং বিক্ষোভ আরো তীব্রতর হয়েছে। আর এই বিক্ষোভের আঁচ ভালোই লাগছে এবার হরিয়ানার শাসক শিবিরে। বুধবার ছিল লোহরি উৎসব। আর এই উৎসবে দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভরত কৃষকরা 3 কৃষি আইনের প্রতিলিপি পুড়িয়ে প্রতীকী বিক্ষোভ দেখালেন।

তবে সব থেকে বেশি চাপ বাড়ছে হরিয়ানার সরকারের। কারণ ইতিমধ্যেই বিজেপি এবং জেজেপি নেতাদের হরিয়ানার ষাটটির বেশি গ্রামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হরিয়ানায় বিজেপি এবং তার জোটসঙ্গী বিধায়ক এবং নেতারা যাতে গ্রামে প্রবেশ করতে না পারেন তার জন্য গ্রামের বাইরে রীতিমতো নোটিশ টাঙানো হয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় কৃষক সংগঠনগুলির ক্রমাগত এলাকার নেতাদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। যথারীতি হরিয়ানার জোট সরকার পড়েছে এবার ব্যাপক চাপে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কৃষি আইন নিয়ে বিজেপির ওপর এবার জোটসঙ্গীদের চাপ বাড়ছে।  

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠকে বসেছিলেন। আর এবার হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে দিল্লিতে সরকারের ওপর আরও চাপ বাড়াতে কৃষকেরা আগামী 26 শে জানুয়ারি দিল্লির বুকে ট্রাক্টর র‍্যালির প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই 26 শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে ভিড় বাড়ে বিদেশিদের। আর তাদের সামনে যাতে কোনরকম অস্বস্তিতে না পড়তে হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে এখন সেই চিন্তাই ভাবাচ্ছে সরকারকে। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে যে কমিটি তৈরি হয়েছে তা কৃষকরা কোন মতেই মেনে নিচ্ছেন না।

কারণ কৃষক সংগঠনগুলির দাবি, সুপ্রিম কোর্ট যে চার সদস্যকে নিয়ে কমিটি তৈরি করেছেন সেই সদস্যরাই প্রধান সমর্থক কেন্দ্রের এই নতুন কৃষি আইনের। তবে কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা নিরপেক্ষভাবে কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা করবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি কিন্তু ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। সবরকম অসুবিধা সত্ত্বেও যেভাবে দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে কৃষকেরা একনাগাড়ে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তাতে যে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে সে কথা বলাই বাহুল্য। তবে এবার হরিয়ানা সরকার পরিস্থিতি কিকরে সামাল দেয় সেটাই দেখার।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!