এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধানসভার নামে স্বেচ্ছাচার! সংসদীয় গণতন্ত্র চরম কলঙ্কিত! ওয়াকআউট করে একযোগে বিস্ফোরক বাম-কং

বিধানসভার নামে স্বেচ্ছাচার! সংসদীয় গণতন্ত্র চরম কলঙ্কিত! ওয়াকআউট করে একযোগে বিস্ফোরক বাম-কং

রাজ্য বিধানসভা গণতন্ত্রের পীঠস্থান। কিন্তু এই বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন সরকার সব সময়েই বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করে বলে মাঝেমধ্যেই ওয়াকআউট করে সরব হতে দেখা যায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। এবার ফের অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ওয়াকআউট করল বাম- কংগ্রেস। যা রীতিমতো বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনকে বিপর্যস্ত করে তুলল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

লাগাতার স্লোগান, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ, কাগজ ছিঁড়ে অধ্যক্ষের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া, এই সমস্ত কিছুরই সাক্ষী থাকল শুক্রবার রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন। শেষ পর্যন্ত বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি। জানা যায়, দুদিন অধিবেশন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার বেলা 11 টা নাগাদ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন বসে। তবে অধিবেশন শুরুর আগে আলোচ্যসূচি ঠিক করতে সকাল দশটার সময় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হলেও, তা বয়কট করতে দেখা যায় বিরোধীদের।

এদিকে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকের পর অধিবেশন কক্ষে এসে প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিলের কথা জানিয়ে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধীরা। জানা যায়, এদিন বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা বিভিন্ন দপ্তরের প্রশ্ন নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু অধ্যক্ষ প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিলের কথা জানিয়ে দেওয়ায়, তারা সেই প্রশ্ন করার সুযোগ না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়তে শুরু করেন। তীব্র প্রতিবাদ করতে শুরু করেন বাম এবং কংগ্রেস বিধায়করা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরই পার্শ্বশিক্ষক ইস্যুতে সেই বাম এবং কংগ্রেসের তরফে মুলতুবি প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়। পরে অবশ্য তা খারিজ হয়ে যায়। আর এরপরই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেই প্রস্তাবটি পাঠ করেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। যেখানে তিনি বলেন, “টানা 22 দিন ধরে পার্শ্বশিক্ষকরা অনশন করছেন। একদা মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি মত বেতন কাঠামো কার্যকর করার জন্য তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন। অথচ সরকারের কোনো হেলদোল নেই।”

তিনি আরও বলেন, “মনে হচ্ছে, সরকার যেন ওদের মৃত্যু কামনা করছে। সম্ভবত তাই এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে সদনে আলোচনার অনুমতি মিলছে না।” আর এরপরই বাম ও কংগ্রেসের বিধায়ক আসন ছেড়ে ওয়েলে নেমে তাদের বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরবর্তীতে তারা ওয়াকআউট করতে বাধ্য হন। এদিকে সদনের আলোচনাতে তাদেরকে আলোচনার বিষয়বস্তু তুলতে না দেওয়ায়, পরে বাইরে এসে সদন চলা নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করেন বাম এবং কংগ্রেসের বিধায়করা।

বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী এবং আরএসপির বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, “সংবিধান প্রণেতা আম্বেদকরের মৃত্যু দিবসে আজ রাজ্য বিধানসভার ইতিহাসে এক চরম কলঙ্কের দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রইল। অধিবেশন কিভাবে চালানো হচ্ছে, তা সবাই দেখছে। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা দপ্তরগুলির জন্য নির্ধারিত দিনেই আচমকা কেন প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল হল! তার কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া গেল না। কেন পার্শ্ব শিক্ষকদের অনশন ইস্যুতে আলোচনার সুযোগ দেওয়া হল না?”

তাঁদের আরও দাবি, “এই দিনটিকে কালা দিবস হিসেবে পালন করে বাবরি ধ্বংসকারীদের শাস্তির দাবি ইস্যুতেও আলোচনার সুযোগ দেওয়া হল না! সবকিছুই এখন স্পষ্ট। অথচ তিন বছর আগে বিধানসভার পরিবহন সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট বের করে এনে তা নিয়ে আলোচনা করে বিধানসভার মূল্যবান সময় নষ্ট করা হল।” সব মিলিয়ে দুদিন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলেও বিরোধীদের আলোচনা করতে না দেওয়ায় তীব্র বিক্ষোভ, ওয়াকআউট ও বিরোধীদের শোরগোলে অস্বস্তিতে পড়ল ট্রেজারি বেঞ্চ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!