এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > তিনদফা ভোট বাকি থাকতে আবার নজিরবিহীন প্রশাসনিক বদল কমিশনের নির্দেশে, চাঞ্চল্য শাসক মহলে

তিনদফা ভোট বাকি থাকতে আবার নজিরবিহীন প্রশাসনিক বদল কমিশনের নির্দেশে, চাঞ্চল্য শাসক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের ভোটে নজিরবিহীন প্রশাসনিক বদল হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। নির্বাচন কমিশন এ রাজ্যে ভোট করাতে এসে প্রথম থেকেই রাজ্যের পুলিশ আধিকারিক ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের একের পর এক বদল করেছে। এমনকি নির্বাচনের মাঝেও সেই বদল অব্যাহত। আর এবার শেষ তিন দফার আগে রাজ্য পুলিশের বড়সড় রদবদল করল নির্বাচন কমিশন।

সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূমের পুলিশ সুপারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সাথে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারকে বদলি করা হলো এবার কমিশনের নির্দেশে। সূত্রের খবর, বীরভূমের পুলিশ সুপারের দায়িত্ব আনা হয়েছে নন্দীগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠীকে।

গত 1 লা এপ্রিল হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামের ভোট পরিচালনায় দেখা যায় নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে। এমনকি নন্দীগ্রামে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে চোখ রেখে জানিয়েছিলেন নিজের কর্তব্য পালনে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কোনো রাজনৈটিক অশান্তি হতে দেবেননা। তাই এবার তাঁকে আরও একটি জেলার নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়ে আসা হল।

এই নিয়ে বীরভূমে দুবার প্রশাসনিক আধিকারিক বদল হলো। নির্বাচন শুরুর আগেই বিধি অনুযায়ী পুলিশ আধিকারিকদের রুটিন বদলি যখন হয়, তখন বীরভূমের এসপি শ্যাম সিংয়ের বদলে আনা হয়েছিল মিরাজ খালিদকে। আর এবার বীরভূমের নির্বাচনের আগে মিরাজ খালিদকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হল আইপিএস নগেন্দ্র ত্রিপাঠীকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নন্দীগ্রামের মতনই আরেকটি উত্তেজনা প্রবণ ভোটকেন্দ্র হল বীরভূম। বীরভূম জেলার পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে এবারের নির্বাচনে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। আর তাই দায়িত্ব দেওয়া হলো আইপিএস নগেন্দ্র ত্রিপাঠকে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দী করা হয়েছে বলে খবর।

বীরভূমে আগামী 29 এপ্রিল নির্বাচন। অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের 8 টি কেন্দ্রে নির্বাচন হতে চলেছে আগামী 22 তারিখ। সেখানেও পুলিশ সুপার বদল করে ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের বদলে দায়িত্বে এসেছেন অজিত কুমার যাদব। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি বদল করা হল। সিপি সুকেশ জৈনের বদলে এলেন মিতেশ জৈন।

বোলপুরের নতুন এসডিপিও করা হয়েছে নাগরাজ দেবরাকোন্দাকে। সব মিলিয়ে বাকি নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হয়, নির্বাচন কমিশনতে প্রশাসনিক বদল করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে যেভাবে পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলিতে রাজনৈতিক হিংসার কথা উঠে আসছে, সেক্ষেত্রে প্রশাসনিক বদল করলেও তা কতটা কাজে লাগবে তা নিয়ে কিন্তু সন্দেহ থাকছে সব মহলেই।

এই প্রশাসনিক বদলের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়েছে। নন্দীগ্রামে আইপিএস নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী থাকলেও গত পয়লা এপ্রিল নন্দীগ্রামের হিংসা সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল। আপাতত কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর আস্থা রেখে আগামী নির্বাচনে ভোট পরিস্থিতি কি হতে চলেছে সে দিকেই নজর সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!