বঙ্গ বিজেপিতে ক্রমশ প্রকট হচ্ছে দ্বন্দ্ব! খোদ জেলা সভাপতির অপসারণ চেয়ে আন্দোলনে কর্মীরা নদীয়া-২৪ পরগনা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য August 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আসতে চলেছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলির দৃষ্টি নিবদ্ধ আগামীদিনের নির্বাচনী লড়াইয়ে। এতদিন ধরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা আলোচনা হচ্ছিল সর্বত্র। কিন্তু এবার তৃণমূলের পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরেও দেখা যাচ্ছে তুমুল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। গেরুয়া শিবিরেও একই রকম অশান্তির মেঘ ঘনিয়ে উঠেছে। আর সেইসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের জোরালো সংগঠনের দাবী ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার বনগাঁ জেলায় তীব্র অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ পেল বিজেপির। শনিবার বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁর অপসারণের দাবিতে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন এলাকার বিজেপি কর্মীরা। এই বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ জানিয়েছেন, শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় ভেতরে ভেতরে তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত তৈরি করেছেন। এ প্রসঙ্গে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, তিনি এই ব্যাপারটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। অন্যদিকে শংকর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাত নিয়ে যে অভিযোগ আনছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তা নিয়ে এবার বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস পাল্টা বলেন, ”বিজেপির প্রত্যেক নেতা, কর্মী দুর্নীতিগ্রস্ত। তাঁদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের আঁতাঁত করার কোনও প্রয়োজন পড়ে না।” পাল্টা তিনি প্রশ্ন তোলেন, জেলা সভাপতির অপসারণ চাইতে সাংসদের বাড়িতে ডেপুটেশন জমা দিতে যেতে হবে কেন? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্তর্দ্বন্দ্বের সাথে সাথেই জেলাজুড়ে দলবদলের হিড়িক শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবির থেকে। অনেকেই চলে যাচ্ছেন তৃণমূলে। সম্প্রতি বসিরহাট মহকুমা বাদুড়িয়া বিধানসভার পৌর কমিউনিটি হলে এক ঝাঁক বিরোধী কর্মীসমর্থকরা যোগ দিলেন তৃণমূলে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর 24 পরগনা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর, কার্যকরী সভাপতি ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী। তিনি দলবদলকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে স্বাগত জানান বলে জানা গেছে। বাদুড়িয়া বিধানসভা কংগ্রেস নেতা কাজী আবদুল গফফর জন্মভূমির কারণে কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত। আর সেই বাদুড়িয়াতেই এবার কংগ্রেস শিবিরে বড়সড় ভাঙন। সূত্রের খবর, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম ও নির্দল মিলিয়ে 45 জন সদস্য ও কয়েকশো কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করলেন। তৃণমূলে যোগ দিয়েই দলবদলকারীরা জানান, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যজুড়ে যে উন্নয়ন শুরু করেছেন, সেই উন্নয়নের শরিক হওয়ার জন্যই তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাদুড়িয়া অঞ্চলে যেভাবে দলবদল হল, তাতে এলাকায় তৃণমূলের শক্তি যথেষ্ট বেড়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। বিগত কয়েক দিন ধরে রাজ্যজুড়ে তৃণমূল শিবির যেভাবে বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরাচ্ছে, তাতে করে আগামী দিনে বিরোধীরা যে বেশ বেকায়দায় পড়তে চলেছে, সে কথা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে, গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব এখনই আটকাতে না পারলে গেরুয়া শিবিরের সংগঠন যে অচিরেই ভেঙে পড়বে তা রীতিমত জোর দিয়ে বলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশরা। আপনার মতামত জানান -