দিলীপের শূন্য আসনে বিজেপি প্রার্থী মিমি, প্রচারে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, লড়াইয়ে বাম-কংগ্রেসও জাতীয় September 22, 2019 লোকসভা নির্বাচনের তুমুল লড়াইয়ের আবহ মিলিয়ে যেতে না যেতেই গোটা দেশজুড়ে কার্যত পুনরায় নির্বাচনের আবহ। গতকাল, জাতীয় নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে আগামী ২১ শে অক্টোবর হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে গোটা দেশের ১৮ টি রাজ্যের ১ টি লোকসভা ও ৬৪ টি বিধানসভা উপনির্বাচনও ওইদিন অনুষ্ঠিত হবে। সবকটি সোনার ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ২৪ শে অক্টোবর। লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশজুড়েই কার্যত মোদী-ঝড়ের সামনে খড়কুটোর মত উড়ে গেছে বিরোধীরা। ফলে, লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীরা যে দীর্ঘদিনের বৈরিতা ভুলে একছাতার তলায় আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল – কার্যত তা ভেস্তে গেছে। শুরু হয়েছে একে-ওপরের বিরুদ্ধে তীব্র-বিষেদগার। এই পরিস্থিতিতে এই নির্বাচন-উপনির্বাচনে কিছুটা অ্যাডভ্যান্টেজ নিয়েই ময়দানে নামবে গেরুয়া শিবির। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার বাধারঘাট কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে। এই আসনটি ছিল কার্যত দিলীপ সরকারের গড়। এখানে বামেরা ৪ বার জিতলেও, পাঁচ-পাঁচবার জিতে নিজের গড়ে পরিণত করেন দিলীপবাবু। ২০০৮ সাল থেকে তিনি টানা এই কেন্দ্রের বিধায়ক। এমনকি, পরিবর্তনের লক্ষ্যে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে এসেও ২০১৮ সালে তিনি এই কেন্দ্র থেকে পঞ্চমবারের জন্য বিধায়ক হন। তাঁর অকালমৃত্যুতেই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে। ২০১৮ সালে এই রাজ্যে দীর্ঘ বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনেও দুটি আসনেই জয়ী হয় তারা, এমনকি পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৯০%-এর বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা। কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, জোটসঙ্গী আইপিএফটি-এর সঙ্গে দুরাততো বেড়েছে ত্রিপুরার শাসকদলের। দূরত্ত্ব তৈরী হয়েছে কংগ্রেস থেকে আগত হেভিওয়েট নেতাদের সঙ্গেও। এই পরিস্থিতিতে, এই উপনির্বাচনের লড়াই যে সহজ হবে না তা নিয়ে কার্যত নিশ্চিত বিশেষজ্ঞ মহল। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন মিমি মজুমদার। তাঁর বিরুদ্ধে বামফ্রন্ট প্রার্থী করছে সিপিএমের বুল্টি বিশ্বাসকে। পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও – একদা নিজেদের পুরোনো গড় পুনরুদ্ধারে তাদের ভরসা রতন দাস। ফলে রীতিমত জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার – জয়ের জন্য ঝাঁপাচ্ছে সব দলই। মিমিদেবীর হয়ে প্রচারে ঝড় তুলছেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। এখন দেখার ২৪ তারিখ শেষপর্যন্ত জয়ের হাসি হাসেন কে। আপনার মতামত জানান -